থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে টানা ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যটন নগরী হাত ইয়াইসহ বিভিন্ন এলাকায় কোমরসমান পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে যায় এবং শত শত মানুষ ঘরবাড়ি ও হোটেলে আটকা পড়েন। ব্যাংকক থেকে এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
সরকার ইতোমধ্যে সঙখলা প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করে বলেছে, এ সপ্তাহজুড়ে আরও ভারী বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। খবর এএফপির।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহের শেষ দিক থেকে শুরু হওয়া বর্ষণে হাত ইয়াইসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগ নিশ্চিত করেছে যে চারটি বন্যাকবলিত প্রদেশে মোট ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
স্থানীয় টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, নৌকা, জেট স্কি ও সেনাবাহিনীর ট্রাক ব্যবহার করে উদ্ধারকর্মীরা মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছেন। অনেক পরিবার শিশুদের বাঁচাতে ফোলানো সুইমিংপুলকে অস্থায়ী নৌকা হিসেবে ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন।
সঙখলা প্রদেশের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত ১,২০০–র বেশি মানুষকে ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল বলেছেন, উদ্ধার তৎপরতা বাড়াতে আরও নৌকা ও ট্রাক মোতায়েন করা হবে।
থাইল্যান্ডে সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারী বর্ষণ হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন চরম আবহাওয়া পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত ও তীব্র করে তুলছে।
এসআর