
মো. মাসুদ হোসেন

বিশ্বের উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশেও পুরুষের পাশাপাশি নারীদের ভূমিকা অতুলনীয়। পিছিয়ে নেই সমাজের অসহায় নারীরা। অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে তারা আজ দায়িত্ব নিতে শিখেছেন নিজের এবং পরিবারের। তেমনই একজন চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার খাদিজা আক্তার। উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম ও বেড়ে ওঠা খাদিজা আজ কুমিল্লা শহরে বসেই মেটাচ্ছেন পরিবারের চাহিদা। এটা করতে নেই, এভাবে বসতে নেই, ওভাবে চলতে নেই এমন নিয়মনীতির বেড়াজাল ভেঙে খাদিজা আজ পৌঁছেছেন সফলতার দুয়ারে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন উদ্যোক্তা। আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি সৃষ্টি করছে অন্যের কর্মসংস্থানেরও। ২০১৯ সালে শুরু করা অফলাইনের পাশাপাশি তিনি আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছেন অনলাইনেও।
নিজ এলাকার বেরনাইয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে এসএসসি ও ২০১৪ সালে শাহ শরিফ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে আনসার-ভিডিপি ট্রেনিংয়ের জন্য চলে যান কুমিল্লায়। পরে নিজের খরচ মেটানোর জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করেন। সেখানেই এক পছন্দের ছেলেকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন ২০১৬ সালে। বিয়ের পরও নিজ খরচে চালিয়ে নেন পড়াশোনা। সেই খরচ বহনে টিউশনি শুরু করেন । পরে ২০১৯ সালে একটি ছেলেসন্তানের মা হন। খরচ বেড়ে যাওয়ায় টিউশনির ১ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে হ্যান্ড ও ব্লক পেইন্টিংয়ের কিছু পণ্য দিয়েই শুরু করেন অফলাইন ব্যবসা।
প্রথমে আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে বিক্রি করা এসব পণ্যে বেশ সাড়া পেয়ে ২০২৩ সালে যুক্ত হন অনলাইনেও। এর মধ্যে তাদের দাম্পত্য জীবনে আসেন আরেকটি ছেলেসন্তান। দুই সন্তানের জননী খাদিজা আক্তার তার হাতের তৈরি বাটিকের কাজ, চুড়ির ডিজাইন, সেলাইয়ের কাজ, হ্যান্ড ও ব্লক পেইন্টিং, নকশিকাঁথা সেলাই, কুশিকাটা, কেক তৈরিসহ হাতের যাবতীয় কাজ দিয়েই বেশ পরিচিত। এছাড়া তিনি প্যারামেডিকেল কোর্স, কম্পিউটার শেখা ও আনসার-ভিডিপি ট্রেনিং করেছেন।
একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করা স্বামীর আয়ে যেন কুলিয়ে উঠতে পারছেন না খাদিজা আক্তার। বাবার পরিবারের সাপোর্টসহ তাকে ছোট বোনের লেখাপড়ার খরচও বহন করতে হয়। তার উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথমদিকে কারো তেমন কোনো সহযোগিতা না পেলেও পরে স্বামীর উৎসাহ নিয়েই এ পর্যন্ত এসেছেন তিনি। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া মেয়েটি অর্থাভাবে লেখাপড়া চালাতে কষ্ট হওয়ায় সপ্তম শ্রেণি থেকেই টিউশনি শুরু করেন। তখন থেকেই তিনি তার নিজের উপার্জন দিয়ে চলতে থাকেন। নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে খাদিজা টিউশনির ১ হাজার টাকার পুঁজি এখন প্রায় ২ লাখ টাকার মতো।
এদিকে নিজে সফল হওয়ার পাশাপাশি স্বপ্ন দেখেন উদ্যোক্তা তৈরির, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা তৈরির। এতেও সফল তিনি। বলা যায়, নারী উদ্যোক্তা তৈরির ‘উদ্যোক্তা’ খাদিজা আক্তার। তিনি কুমিল্লা শহরের ছোট-বড় সব নারীকে হাতের কাজ শেখাতে বড় ভূমিকা রাখছেন। এতে তিনি বেশ আনন্দ উপভোগ করছেন। অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘Khadija fashion house’ নামে পেজে তার ব্যবসাও অনেকটা সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।
খাদিজা আক্তার বলেন, “আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় সন্তান। আমার শৈশবকাল ছিল খুবই কষ্টের। টাকার অভাবে বহুদিন বাড়ি থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার পথ হেঁটে কলেজে গিয়েছি। সেখান থেকেই জীবনের শিক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিÑএকদিন নিজের যোগ্যতায় বড় হব। নিজের পরিচয়ে বাঁচব। সেই থেকে নেমে পড়ি এক জীবনযুদ্ধে। ‘নিজের বলার মতো একটি গল্প’ ফাউন্ডেশন ও ‘হাজীগঞ্জ ই-কমার্স’-এর মেম্বার হয়ে কাজের দৃঢ়তা বাড়াই। শত কষ্টের পর আজ আলহামদুলিল্লাহ! সফলতা পেয়েছি।”
এই উদ্যোক্তা আরও বলেন, ‘আমার উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথমদিকে মানসম্পন্ন পণ্য ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা ছিল। পরে ক্রেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকে। সঙ্গে বাড়তে থাকে ব্যবসার পরিধিও। তবে একসময় পোশাক ও কসমেটিক সামগ্রী নিয়ে একটা শোরুম দেওয়ার খুবই ইচ্ছা। পাশাপাশি সমাজের অসহায় নারীদের ব্লক পেইন্টিং ও সেলাইয়ের কাজ শিখিয়ে তাদের স্বাবলম্বী বানাতে চাই। যাতে আমার মতো পরিস্থিতিতে তাদের পড়তে না হয়। আর সৎ ইনকাম দিয়ে হজ করারও ইচ্ছা রয়েছে আমার।’

বিশ্বের উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশেও পুরুষের পাশাপাশি নারীদের ভূমিকা অতুলনীয়। পিছিয়ে নেই সমাজের অসহায় নারীরা। অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে তারা আজ দায়িত্ব নিতে শিখেছেন নিজের এবং পরিবারের। তেমনই একজন চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার খাদিজা আক্তার। উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম ও বেড়ে ওঠা খাদিজা আজ কুমিল্লা শহরে বসেই মেটাচ্ছেন পরিবারের চাহিদা। এটা করতে নেই, এভাবে বসতে নেই, ওভাবে চলতে নেই এমন নিয়মনীতির বেড়াজাল ভেঙে খাদিজা আজ পৌঁছেছেন সফলতার দুয়ারে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন উদ্যোক্তা। আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি সৃষ্টি করছে অন্যের কর্মসংস্থানেরও। ২০১৯ সালে শুরু করা অফলাইনের পাশাপাশি তিনি আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছেন অনলাইনেও।
নিজ এলাকার বেরনাইয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে এসএসসি ও ২০১৪ সালে শাহ শরিফ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে আনসার-ভিডিপি ট্রেনিংয়ের জন্য চলে যান কুমিল্লায়। পরে নিজের খরচ মেটানোর জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করেন। সেখানেই এক পছন্দের ছেলেকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন ২০১৬ সালে। বিয়ের পরও নিজ খরচে চালিয়ে নেন পড়াশোনা। সেই খরচ বহনে টিউশনি শুরু করেন । পরে ২০১৯ সালে একটি ছেলেসন্তানের মা হন। খরচ বেড়ে যাওয়ায় টিউশনির ১ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে হ্যান্ড ও ব্লক পেইন্টিংয়ের কিছু পণ্য দিয়েই শুরু করেন অফলাইন ব্যবসা।
প্রথমে আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে বিক্রি করা এসব পণ্যে বেশ সাড়া পেয়ে ২০২৩ সালে যুক্ত হন অনলাইনেও। এর মধ্যে তাদের দাম্পত্য জীবনে আসেন আরেকটি ছেলেসন্তান। দুই সন্তানের জননী খাদিজা আক্তার তার হাতের তৈরি বাটিকের কাজ, চুড়ির ডিজাইন, সেলাইয়ের কাজ, হ্যান্ড ও ব্লক পেইন্টিং, নকশিকাঁথা সেলাই, কুশিকাটা, কেক তৈরিসহ হাতের যাবতীয় কাজ দিয়েই বেশ পরিচিত। এছাড়া তিনি প্যারামেডিকেল কোর্স, কম্পিউটার শেখা ও আনসার-ভিডিপি ট্রেনিং করেছেন।
একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করা স্বামীর আয়ে যেন কুলিয়ে উঠতে পারছেন না খাদিজা আক্তার। বাবার পরিবারের সাপোর্টসহ তাকে ছোট বোনের লেখাপড়ার খরচও বহন করতে হয়। তার উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথমদিকে কারো তেমন কোনো সহযোগিতা না পেলেও পরে স্বামীর উৎসাহ নিয়েই এ পর্যন্ত এসেছেন তিনি। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া মেয়েটি অর্থাভাবে লেখাপড়া চালাতে কষ্ট হওয়ায় সপ্তম শ্রেণি থেকেই টিউশনি শুরু করেন। তখন থেকেই তিনি তার নিজের উপার্জন দিয়ে চলতে থাকেন। নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে খাদিজা টিউশনির ১ হাজার টাকার পুঁজি এখন প্রায় ২ লাখ টাকার মতো।
এদিকে নিজে সফল হওয়ার পাশাপাশি স্বপ্ন দেখেন উদ্যোক্তা তৈরির, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা তৈরির। এতেও সফল তিনি। বলা যায়, নারী উদ্যোক্তা তৈরির ‘উদ্যোক্তা’ খাদিজা আক্তার। তিনি কুমিল্লা শহরের ছোট-বড় সব নারীকে হাতের কাজ শেখাতে বড় ভূমিকা রাখছেন। এতে তিনি বেশ আনন্দ উপভোগ করছেন। অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘Khadija fashion house’ নামে পেজে তার ব্যবসাও অনেকটা সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।
খাদিজা আক্তার বলেন, “আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় সন্তান। আমার শৈশবকাল ছিল খুবই কষ্টের। টাকার অভাবে বহুদিন বাড়ি থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার পথ হেঁটে কলেজে গিয়েছি। সেখান থেকেই জীবনের শিক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিÑএকদিন নিজের যোগ্যতায় বড় হব। নিজের পরিচয়ে বাঁচব। সেই থেকে নেমে পড়ি এক জীবনযুদ্ধে। ‘নিজের বলার মতো একটি গল্প’ ফাউন্ডেশন ও ‘হাজীগঞ্জ ই-কমার্স’-এর মেম্বার হয়ে কাজের দৃঢ়তা বাড়াই। শত কষ্টের পর আজ আলহামদুলিল্লাহ! সফলতা পেয়েছি।”
এই উদ্যোক্তা আরও বলেন, ‘আমার উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথমদিকে মানসম্পন্ন পণ্য ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা ছিল। পরে ক্রেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকে। সঙ্গে বাড়তে থাকে ব্যবসার পরিধিও। তবে একসময় পোশাক ও কসমেটিক সামগ্রী নিয়ে একটা শোরুম দেওয়ার খুবই ইচ্ছা। পাশাপাশি সমাজের অসহায় নারীদের ব্লক পেইন্টিং ও সেলাইয়ের কাজ শিখিয়ে তাদের স্বাবলম্বী বানাতে চাই। যাতে আমার মতো পরিস্থিতিতে তাদের পড়তে না হয়। আর সৎ ইনকাম দিয়ে হজ করারও ইচ্ছা রয়েছে আমার।’

চিকিৎসা কোনো বাণিজ্য, এটি সেবার পেশা বলে মন্তব্য করেছেন কিংবদন্তি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকী। চিকিৎসকদের মানবিকতা ও পেশাগত সততার সঙ্গে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রশাসনিক, আর্থিক ও অবকাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ২০ দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের কর প্রশাসন এখন প্রযুক্তিনির্ভর ও স্বচ্ছ ব্যবস্থার দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সদস্য জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ।
৬ ঘণ্টা আগে
জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে অস্বীকার করে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রবিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ডাকসু জানায়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসন-কাঠামোর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত আন্দোলন।
৬ ঘণ্টা আগে