আমি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দেয়া বিভিন্ন দলীয় মামলায় পলাতক ছিলাম। গত ৪ আগস্ট আমার ছেলে আওয়ামী কর্মী দ্বারা আহত হয়। তাদের ভয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারেনি। পরে কাইটাইল বাজারে একজন পল্লী চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নেয়। আমার ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়েও জুলাই যোদ্ধা হতে পারেনি।
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন যখন জেগে উঠল, তখন আমরা দেখলাম সমাজের সো কল্ড বুদ্ধিজীবীদের, শিল্পী-সাহিত্যিক-কবিদের বড় একটা অংশ এটাকে ধরতে পারল না বা নিজেদের যুক্ত করতে পারল না।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারত পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ঢাকার চারপাশ থেকে বিক্ষুব্ধ জনতার গণস্রোত গিয়ে গণভবনে দখল নেয়। বিক্ষুব্ধ জনতা গণভবনে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায়। সেখানে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশী দোসররা নতুন বাংলাদেশ গড়ার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে পদে পদে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নানামুখী অপপ্রচারে লিপ্ত। তারা সবসময় চাইবে 'জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৈরি হওয়া জাতীয় ঐক্যের শক্তিকে পরাভূত করতে...
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এখন বছর অতিক্রান্ত হয়নি। এর মধ্যে ফ্যাসিবাদের সফট পাওয়ারগুলো সরব হয়ে উঠেছে।
কোনো ব্যক্তি একা জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান ঘটায়নি। এটি দীর্ঘ লড়াইয়ের ফসল। গণঅভ্যুত্থান করা হয়েছে জনগণের ক্ষমতা কায়েম করতে, গণঅভ্যুত্থান একটি সামাজিক ও রুহানি শক্তি। তাই রক্তের ঐক্য এখন যেকোনোভাবে টিকিয়ে রাখতে হবে। এই আন্দোলন কে ঘটিয়েছে, কে মাস্টারমাইন্ড এসব খুব তুচ্ছ তর্ক।
আত্মপরিচয়হীন অনিকেত মানসিকতা আধুনিক কবিতার মূলমন্ত্র। আধুনিক কবিও তাই বোদলেয়ারের ‘প্যারিস সপ্লীন’-এ উল্লিখিত ‘অদ্ভুত অচেনা মানুষ’। বোদলেয়ার তাই ঘোষণাও করেছিলেন-“কবি কোনো ‘কাজে লাগেন’ না, যে বায়রনি বিদ্রোহের দিন গত হয়েছে, পূর্ণ হয়েছে সমাজের সঙ্গে কবির বিচ্ছেদ; প্রতিবাদ করলেও প্রতিবাদের পাত্রকে
সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার চেহারা এখন চকচক করছে তারা আগে হলে-মেসে থাকলেও এখন চড়েন কোটি টাকার কোটি টাকার গাড়িতে গায়ে দেন ৩০ হাজার টাকার পাঞ্জাবি ৪০ লাখ টাকার ঘড়ি হাতে দেন। নতুন দলের এক নেতা এক শতের অধিক গাড়ি নিয়ে বাড়িতে গেছেন। তারা হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে কোটি কোটি টাকার ইফতার খাওয়ান।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের আট মাস পরও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরেননি। নির্বাচন সামনে রেখে তার ফেরার বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। তবে এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বহালতবিয়তে।
ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আনতে হলে উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন প্রয়োজন হবে। উপেক্ষিত হলো তারা—যাদের ছোটলোক ও নিচু সম্প্রদায় বলে ওপরতলার লোকেরা সম্বোধন করে, যাদের শ্রমে-ঘামে পৃথিবী আজ এগিয়ে চলেছে; অথচ যারা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়, সারা দিন-রাত পরিশ্রম করে যারা পরিবারের সদস্যের মুখে তিনবেলা খাবার
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ছয় মাসের মাথায় গণহত্যাকারীদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। গত দেড় দশকে মুজিবের রাজপরিবার দেশে যে নিপীড়নমূলক শাসক চাপিয়ে দিয়েছিল, তা স্বাভাবিক করতে ফ্যাসিস্টদের প্রতি মানবিক আচরণ ও সম্মান জানানোর বয়ান হাজির করা হচ্ছে।
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আল্লাহ প্রদত্ত মহান এক নিয়ামত। এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর যখনই কোনো নগ্ন থাবা এসেছে, তা রুখে দাঁড়াতে প্রতিবার স্বাধিকার চেতনায় উজ্জীবিত, সৎ-সাহসী কেউ না কেউ এগিয়ে এসেছেন। দেশের আপামর জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়েছেন স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার দুর্বার সংগ্রামে।
যুবলীগ নেতা আকরাম জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ ও হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি হাজী সেলিম বিপুল টাকা দিয়ে তাকে আন্দোলন দমনে কাজে লাগান বলে পুলিশ জানায়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর ভারতে পালিয়ে যান স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। তার পালিয়ে যাওয়ার ছয় মাস পার হলেও এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানামুখী চক্রান্ত করে যাচ্ছে দলটি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ছয় মাসের মাথায় গণহত্যাকারীদের পুনর্বাসনের নানা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে দিল্লির আশ্রয়ে থাকা হাসিনা আবার তৎপর হয়ে ওঠেন।
দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়ার ছয় মাস আজ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়। পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ওইদিন ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।