বগুড়ার শেরপুরে জমিসংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জেরে আরাফাত ইসলাম (১৬) নামের এক কিশোরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুঘাট ইউনিয়নের খিদির হাসরা গ্রামের সাকিব হোসেন (২২) এবং ভবানীপুর ইউনিয়নের হলদিবাড়ী গ্রামের আসিফ হোসেন মন্ডল (২২) সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন এই হামলায় জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, হলদিবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মো. রজিব উদ্দিন মন্ডলের সঙ্গে একই এলাকার কয়েকজনের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে অভিযুক্তরা রজিব মন্ডলের বাড়ির সামনে এসে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে ওইদিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে রজিব উদ্দিন মন্ডলের নাতি আরাফাত ইসলাম (১৬) বন্ধুদের সঙ্গে উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের সদর হাসড়া এলাকায় আয়োজিত ঘোড়দৌড় মেলা দেখতে যায়। অভিযোগ অনুযায়ী, মেলার ভেতর থেকে কৌশলে তাকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। একপর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আরাফাতের মাথার গুরুতর জখম হয় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে অটোরিকশাযোগে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্ল্েেক্স ভর্তি করেন। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসিফ হোসেন মন্ডলের পিতা জহুরুল ইসলাম দুলাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ছেলে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। তাকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই ঘটনায় জড়ানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আলী বলেন, এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।