নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাগলার চর দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সামছুদ্দিন ও আলা উদ্দিন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন—সামছুদ্দিন ওরফে কোপা সামছু গ্রুপের সামছুদ্দিন, তার ছেলে মোবারক হোসেন এবং আলা উদ্দিন গ্রুপের আলা উদ্দিনসহ মোট ৫ জন। এর মধ্যে আলা উদ্দিনের মরদেহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, জাগলার চরে বর্তমানে কয়েক শ ভূমিহীন পরিবার বসবাস করছে। চরের অর্ধেক জমি খাস এবং অর্ধেক ব্যক্তি মালিকানাধীন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সামছুদ্দিন চরের জমি দখল করে প্রতি একর ২২ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা করে ভূমিহীনদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। তবে গত কিছুদিন ধরে বিক্রির টাকা মুশফিক ও ফরিদ কমান্ডারকে দিচ্ছিল না সে। এরই জের ধরে মুশফিক ও ফরিদের হয়ে মঙ্গলবার সকালে আলা উদ্দিন, শীর্ষ ডাকাত কাউয়া কামাল ও নিজাম মেম্বারের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন অস্ত্রধারী চর দখলে যায়।
একপর্যায়ে চরে থাকা সামছুদ্দিনের লোকজনের সঙ্গে তাদের গোলাগুলি শুরু হয়। এতে আলা উদ্দিনসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন, যার মধ্যে ৫ জন নিহত হয়েছেন। বিকেলে আলা উদ্দিনকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম জানান, এ পর্যন্ত এ ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছে। আমরা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছি।