ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে জুলাই ঐক্যের ব্যানারে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসময় হাসিনার ফাঁসি ও আওয়ামী লীগের বিচারসহ এ অপচেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।
এর আগে একইদিন ভোররাতে শহরের মুক্তবাজার এলাকায় জুলাই শহীদদের স্মরণে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগ করে দূর্বৃত্তরা। এতে স্মৃতিস্তম্ভের নিচের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে দুই যুবক মুক্তবাজার স্টাডি কেয়ার কোচিংয়ের পাশে অবস্থান নেন। পরে তারা কেরোসিন ঢেলে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগ করে মডেল কলেজের পাশের গলি দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ ও আলামত সংগ্রহ করে।
বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আব্দুল্লাহ আল যোবায়ের বলেন, ‘ এটি কোনো আকস্মিক দুর্ঘটনা নয়, স্পষ্টভাবে সংগঠিত, পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি নাশকতা। যে স্মৃতিস্তম্ভ আমাদের ইতিহাস, আত্মত্যাগ আর পরিচয়ের প্রতীক, সেই জায়গায় আগুন লাগিয়ে দুষ্কৃতিকারীরা শুধু ইট-পাথরে নয়, ফেনীর মানুষের আত্মমর্যাদায় আঘাত করেছে। ফেনী মডেল থানার পাশেই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, এর দায় প্রশাসন কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারে না। এই অবহেলার জবাব প্রশাসনকে দিতেই হবে।’
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, স্মৃতিস্তম্ভের একটি অংশ কালো হয়ে গেছে।ধারণা করা হচ্ছে কেরোসিন/পেট্রোল ব্যবহার করে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে যারা এ অপচেষ্টা চালিয়েছে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।