কুমিল্লার তিতাস উপজেলার লালপুর বাজারে আগুনে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীসহ ১০টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে।
বাজারে আগুন ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পানি ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কেউ কিছু বলতে পারেননি।
আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে, নয়ন ইলেকট্রনিক, মহাসিন স্টোর, মতিন স্টোর, মনা স্টোর, জাকারিয়া স্টোর, কাউছার ডেকোরেশন, হাজী স্টোর ও ফরহাদ পোল্ট্রি। আরও কয়েকটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, কোনো দোকানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। হঠাৎ খবর পাই বাজারে আগুন লেগেছে। ছুটে এসে দেখি দোকানগুলো জ্বলছে। সবাই মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই সব শেষ হয়ে যায়। এখন প্রশাসন যদি আমাদের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে হয়তো আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।”
দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. শরিফ জানান, ‘রাত ১১টার দিকে খবর পেয়ে আমাদের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।’
এই ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দ্রুত সহায়তা প্রদানের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।