হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

গোমতী নদী তীরের ফসলি জমির মাটি লুটের মহোৎসব

শাহ আলম শফি, কুমিল্লা (দক্ষিণ)

গোমতী নদীর তীরবর্তী ফসলি জমিতে রাতের আঁধারে চলে মাটি চুরি। ছবি আমার দেশ

কুমিল্লার গোমতী নদীর তীরে ও ফসলি জমিতে রাতের আঁধারে চলছে মাটি লুটের মহোৎসব। মাটিখেকোরা নদীর ও ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে করে একদিকে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে অন্যদিকে ফসলি জমি হারাচ্ছে কৃষক। এতে করে কুমিল্লার প্রধান নদী গোমতীর তীরের মানুষ হচ্ছে দুর্ভোগের শিকার। দেখা দিচ্ছে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। নদীভাঙন, শব্দ ও পরিবেশ দূষণের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন নদী তীরের মানুষ।

জানা গেছে, গোমতী নদীর বাঁধ মেরামতের নামে লুটপাট করা হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা। প্রতি বছর বর্ষায় নদীর চর এলাকা থেকে মাটিকাটা বন্ধ থাকলেও শীতের শুরুতে মাটিখেকোরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। প্রশাসন নামমাত্র অভিযানের নামে তৎপরতা দেখালেও মাটিকাটা বন্ধ হচ্ছে না ।

কুমিল্লার পার্শ্ববর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুমুর থেকে উৎপত্তি গোমতী নদীর। প্রতি বছর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিপুল পরিমাণ পলি বহন করে নদীর চর এলাকার ফসলি জমি উর্বরতা বাড়ায়। কিন্তু এই উর্বর ফসলি জমির মাটিতে কৃষক ফসল ফলাতে পারে না মাটিখেকোদের তৎপরতায়।

কুমিল্লার গোমতীতে ও ফসলি জমিতে রাজনৈতিক পরিচয়ে ও ক্ষমতার জোরে মাটিখেকোরা মাটি বিক্রির ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে। তন্মধ্যে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী সুবর্ণপুর, জালুয়াপাড়া, অরণ্যপুর থেকে শুরু করে টিক্কাচর, পাঁচথুবী, শালধর, শ্যামার চর, ডুমুরিয়া চাঁন্দপুর, শ্রীপুর, কাপ্তানবাজার, হত্রখীল, ভাটপাড়া, রত্নাবতী, বানাসুয়া, পালপাড়া, বাবুবাজার, শিমুলখাড়া, বালিখাড়া, আড়াইওরা, দুর্গাপুর, আলেখারচর, আমতলী, কাচিয়াতলী, কাঠালিয়া, মীরপুর, রায়পুর, বাজেহুরা, কিংবাজেহুরা, এতবারপুর, কুসুমপুর, রামচন্দ্রপুর, হাসিনাবাদ, কংশনগর, ভাংতি, কাহেতরা পূর্বহুরা, রামনগর, নানুয়ারবাজার, বুড়বুড়িয়া, মিথিলাপুর, বাহেরচর, শ্রীপুর, গোবিন্দপুর, কোমাল্লা, শ্যামপুর, গোবিন্দপুর, মালাপাড়া, মনোহরপুর, চিপুর, অলুয়া, মেঘনাবাদ, কালিকাপুর, জাককাঞ্জসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক পয়েন্টে অবাধে চলছে মাটিখেকোদের তৎপরতা ।

এই মাটিখেকো চক্র চরের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে ইটের ভাটায়। অভিযোগ রয়েছে, চরের উর্বর ফসলি জমির মাটি কেটে মাটিখেকোরা কৃষকদের ক্ষতি করে পুরো জেলার কয়েকশ ইটভাটার ব্যবসাকে জমজমাট করে তুলেছে । টিক্কাচর এলাকার জাহাঙ্গীর, সোহেল, আলামিন, ম্যামার চর এলাকার সুমন, নুরে আলম, কুল মিয়া জানান, শীতের শুরুতে চর এলাকার কৃষকরা ভাগ্য ফেরাতে ব্যস্ত সময় যখন পার করছেন, তখন মাটিখেকোরা রাতের অন্ধকারে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছে। নদীর তীরের কাপ্তানবাজার এলাকার ফেরদৌস মিঠু জানান, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে টানা বর্ষণে গোমতীর কমপক্ষে অর্ধশতাধিক পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে নদীর চরের কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার শ্যামার চর, শালঘর, শ্রীপুর, রত্নাবতী প্রমুখ স্থানগুলোতে রাতের অন্ধকারে মাটিকাটা চলছে। আর এসব মাটি কখনো ইটভাটা কখনোবা হাউজিং প্রকল্পের জমি ভরাটের কাজে ব্যবহার করা হয়।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক রেজা হাসান বলেন, মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান করেছি সেনাবাহিনীর সহায়তায়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মতলবে ধনাগোদা নদীর সেতুতে ভাঙন, ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল

স্বপ্নপূরণের অপেক্ষায় হাতিয়াবাসী

শিক্ষকতার আড়ালে ছাত্রলীগ পুষছেন বেলাল মজুমদার

দেশে পাথর মেরে মানুষ হত্যার রাজনীতি আর চলবে না

গণতন্ত্রের প্রশ্নে খালেদা জিয়া কখনো আপস করেননি: সালাহউদ্দিন আহমেদ

২১ লাখ টাকার ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৪

বাংলাদেশে আর খুন-গুমের রাজনীতি চলবে না: শিবির সভাপতি

যৌথবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৩

জনগণের দুঃখ-কষ্ট দূর করতে কাজ করতে চাই: শাহজাহান

পদোন্নতি হচ্ছে না ৩২ হাজার শিক্ষকের, কারণ জানালেন প্রাথ‌মিক ও গণ‌শিক্ষা উপ‌দেষ্টা