নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বন্দর একটি আন্তর্জাতিক স্থাপনা। এখানে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই এখানে দেশি প্রতিষ্ঠান-বিদেশি প্রতিষ্ঠান বলে কিছু নেই। বন্দরকে গতিশীল করতে যে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হবে সেই প্রতিষ্ঠান কাজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। সব ক্ষেত্রের দেশের স্বার্থ প্রাধন্য পাবে। বন্দর নিয়ে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কোনো কাজ করবে না অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেশের ঊর্ধ্বমুখী আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের চাপ সামলাতে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তী সরকার সেই লক্ষে কাজ করছে। লালদিয়ার চরের পরিত্যাক্ত এই টার্মিনাল বাস্তবায়ন হলে বন্দরের কার্যক্রমও গতিশীল হবে। এছাড়া বন্দরের ভেতরে অব্যবহৃত পরিত্যাক্ত জায়গাগুলো কাজে লাগানোর কাজ চলমান রয়েছে। খুব শিগগির বর্তমান অবকাঠামোতেই অপারেশনে গতিশীলতা আসবে। এছাড়া চট্টগ্রামে কোন ট্রাক টার্মিনাল না থাকায় নগরী ও জেলায় যানজট বাড়ছে। এই সংকটকেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
বন্দরের ট্যারিফ বর্ধিত করা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আমরা ৩৭ বছর পর ট্যারিফ বাড়ানো হচ্ছে। এটার বিরোধিতা করা অযৌক্তিক। কারণ সব ক্ষেত্রে বন্দরের পরিচালনা ব্যায় বেড়েছে। যদিও আদালতে একটি মামলা হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে বর্ধিত মাশুল এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে। তাই আদালতে বিচারাধিন মামলা নিয়ে মন্তব্য করতে চায় না। কিন্তু বন্দরের সেবার মান বাড়াতে হলে মাশুল সমন্ময় করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস.এম. মনিরুজ্জামানসহ চট্টগ্রাম বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বে টার্মিানল এলাকায় পরিবহন টার্মিনালের উদ্বোধন করেন তিনি। এছাড়া তালতলা কন্টেইনার ইয়ারর্ড উদ্বোধন, এক্স ওয়াই সেড ও কাস্টমস অকশন সেড পরিদর্শনসহ দিনভর বেশ কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশ নেবেন নৌ পরিবহণ উপদেষ্টা।