ভারতে পলাতক হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের রায়কে কেন্দ্র করে কেউ যাতে আইনশৃঙ্খলা অবস্থার অবনতি ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়েছে র্যাব ও পুলিশ। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সকাল থেকে নগরীর ষোলশহর স্টেশনে জড়ো হয় জুলাইযোদ্ধারা। এখান থেকেই কোটাবিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেন শিক্ষার্থীরা। দুই নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, নিউ মার্কেট এলাকা, চকবাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হয় ছাত্র জনতা। তারা শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানান।
ষোলশহর এলাকায় হাসিনার ফাঁসির দাবি জানাতে এসেছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী রাসেল আহমেদ। তিনি জানান, শুধু জুলাই আন্দোলনে নয়, গত ১৭ বছর ধরেই অসংখ্যবার মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন তিনি। তার ১০ বার ফাঁসি হলেও কম হবে।
চকবাজার মোড়ে জড়ো হওয়া মানুষের মধ্যে ছিলেন কবির হোসেন। তার দাবি, শেখ হাসিনার মতো মানবতাবিরোধী একজন অপরাধীকে আশ্রয় দিয়ে ভারতও এই কাজের সহযোগী হয়েছে। ভারত যদি সহযোগিতা না করতো শেখ হাসিনার একার পক্ষে ১৭ বছর ধরে এমন অপরাধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না।
কাজির দেউরি মোড়, অলংকার, একে খান, টাইগারপাসসহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ ও র্যাব। এসব চেকপোস্টে নেতৃত্ব দেয়া পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, কয়েক দিন ধরে রায়ের দিন নাশকতা চালানোর হুমকি ধমকি দিয়ে এলেও সকাল থেকে আওয়ামী লীগ কিংবা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কোনো কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি। তবে ভোররাতে ভূমি অফিসের সাইনবোর্ডসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ককটেলের বিস্ফোরণ ও চোরাগোপ্তা হামলা করার চেষ্টা করলেও দিনের আলোতে তাদের দেখা মেলেনি।
রায় ঘোষণার পর যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে এবং কেউ যাতে কোনো নাশকতার পরিকল্পনা করতে না পারে সে ব্যাপারে তৎপর রয়েছেন তারা।
শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে মোড়ে মোড়ে জড়ো হয়েছে ছাত্র-জনতা। তাদের প্রত্যাশা গণহত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি হবে। ফাঁসি ছাড়া অন্য কোনো রায় হলে ফের রাজপথে নামারও হুঁশিয়ারি জানান জুলাইযোদ্ধারা। একই সাথে ভারতে পলাতক শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার দাবিও জানান তারা।