ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদি প্রচার শেষে গুলিবিদ্ধ হন গত ১২ ডিসেম্বর। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান। এরপর রাজনীতিকরা গানম্যান নিয়েছেন। অনেক নতুন করে অস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদন করেছেন।
তবে চট্টগ্রামের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। নির্বাচনি উত্তাপ বাড়লেও প্রার্থীদের তেমন কোনো নিরাপত্তা বা উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে না। এছাড়াও চট্টগ্রামের কোনো প্রার্থী গানম্যান নেওয়ার আবেদন করেননি। অস্ত্রের লাইসেন্সের নতুন আবেদনও জমা পড়েনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঢাকার ঘটনাগুলো চট্টগ্রামে এখনো নিরাপত্তা–আতঙ্ক তৈরি করেনি। গত কয়েকমাসে গানম্যান বা অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য একটিও আবেদন আসেনি। একই সময় অস্ত্র লাইসেন্সের জন্যও কোনো নতুন ফাইল জমা হয়নি। তাদের ভাষায়, চট্টগ্রামের প্রার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে খুব একটা উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।
চট্টগ্রামের পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) আমিনুর রশিদ আমার দেশকে বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক আমরা সবোচ্চ নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। তবে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে বড় কোনো হুমকি নেই। তবে নির্বাচন যত এগোবে, যে কোনো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রার্থীদের সচেতন থাকা জরুরি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা আমার দেশকে বলেন, ঢাকায় কয়েকটি সহিংস ঘটনার কারণে রাজধানীতে প্রার্থীরা বাড়তি নিরাপত্তা নিচ্ছেন-এটা আমরা দেখছি। কিন্তু চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী গানম্যানের জন্য আবেদন করেননি, অস্ত্রের লাইসেন্সের নতুন আবেদনও জমা পড়েনি। এখানে নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তারপরও আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। প্রার্থীরা চাইলে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী গানম্যানসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা আমরা দিতে প্রস্তুত।