কুমিল্লার দেবিদ্বার মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে দেবিদ্বার মুক্ত হয়েছিল।
১৯৭১ সলের রক্তঝরা দিনগুলোতে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে হানাদারমুক্ত হয়েছিল কুমিল্লার বিভিন্ন অঞ্চল। তারই ধারাবাহিকতায় দেবিদ্বার এলাকা হানাদারমুক্ত হয়েছিল ৪ ডিসেম্বর। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ অভিযানে ৩ ডিসেম্বর বিকেল থেকেই হানাদারদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ চালানো হয়েছিল।
মিত্রবাহিনীর ২৩ মাউন্টেন ডিভিশনের জেনারেল আর ডি হিরার নেতৃত্বে বৃহত্তর কুমিল্লায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। ওই দিন রাতে মুক্তিবাহিনী মাইন বিস্ফোরণে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ সেতুটি উড়িয়ে দেয়। মিত্রবাহিনীর একটি ট্যাংক বহর বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা হয়ে দেবিদ্বারে আসে। হানাদাররা ওই রাতেই দেবিদ্বার ছেড়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে পালিয়ে যায়। ধীরে ধীরে মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন গ্রুপ দেবীদ্বার সদরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
পাক সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধে ওই রাতেই পালিয়ে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে চলে যাওয়ার সংবাদে ৪ ডিসেম্বর ভোর থেকেই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন গ্রুপগুলো এবং হাজার হাজার জনতা স্বাধীন বাংলার পতাকা নিয়ে উপজেলা সদর অভিমুখে আসতে থাকে এবং ‘জয়বাংলা’ স্লোগানে বিজয়ের উল্লাসে উপজেলা সদর প্রকম্পিত করে তোলে।
দেবিদ্বার মুক্ত দিবস উপলক্ষে দেবিদ্বার উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে কর্মসুচি পালন করবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় র্যালি, মুক্তিযুদ্ধ চত্বর ও গণকবরে শহীদদের পুষ্পমাল্য অর্পণ ও উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।