দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ফটিকছড়িতে নতুন উপজেলা ‘ফটিকছড়ি উত্তর’ গঠনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে স্থানীয় বাসিন্দারা। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হলেও তৈরি করা হয়েছে নতুন বিপত্তি। স্থানীয়রা না চাইলেও সরকারের নতুন প্রস্তাবিত ফটিকছড়ি উত্তর উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে ফটিকছড়ির ১১ নম্বর সুয়াবিল ইউনিয়ন ও নাজিরহাট পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডকে। এতে আবারও প্রশাসনিক সীমানা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেখানকার উভয় প্রান্তের বাসিন্দারা। অবিলম্বে একটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডকে বাদ না দিলে ফটিকছড়িকে অচল করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
শনিবার সকালে নগরের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বৃহত্তর সুয়াবিল অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ। এসময় তারা বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি পূরণ করতে হবে। এছাড়াও রোববার থেকে গণঅনশন, প্রশাসনিক অফিস ঘেরাও করা হবে।
বক্তারা বলেন, সরকারের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ আমরা চাই। কিন্তু আমরা যেই এলাকায় যুক্ত হতে চাইনা সেখানে কেন যুক্ত করা হবে। তাছাড়াও যেসব এলাকার মানুষ নতুন উপজেলার জন্য আন্দোলন করেছে তারাও চাইনা আমরা তাদের সাথে যুক্ত হই। এতে কয়েক লাখ মানুষ বঞ্চিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফোরামের সভাপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, সুয়াবিল ইউনিয়নের দূরত্ব ফটিকছড়ি সদর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার, সেখানে প্রস্তাবিত নতুন উপজেলার কেন্দ্রের (উপজেলা ভবন) দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এ অবস্থায় জনগণকে প্রশাসনিক ও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে। মাঠ প্রশাসনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে কিংবা জেলা প্রশাসকের প্রেরিত সুপারিশে সুয়াবিল ইউনিয়ন বা নাজিরহাট পৌরসভার কোনো অংশ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। পরবর্তীতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভৌগলিক তথ্য বিকৃত করে নাম সংযোজন করা হয়েছে। এটি করা হলে ফটিকছড়িতে প্রশাসনিক জটিলতা, দ্বৈত শাসন এবং প্রান্তিক জনগণের দুর্ভোগ বহুগুণে বাড়বে।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফোরামের আহ্বায়ক ওসমান গণি মজুমদার, বিজিএমইএ’র পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইসমাইল কবীর।