হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

নাফ নদীর তোতার দ্বীপে স্থলমাইন বিস্ফোরণ, দুই রোহিঙ্গা আহত

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের নাফ নদীতে তোতার দ্বীপের নাচদং এলাকায় স্থলমাইন বিস্ফোরণে দুই রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় তারা টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। পরে তাদের উখিয়া উখিয়া কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে, সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতির ঘোলাটে হওয়ায় আরাকান রোহিঙ্গা আর্মির (এআরএ) একটি দল নিয়মিত টহল কার্যক্রম করছিল। ওই এলাকায় আগে থেকেই মিয়ানমার জান্তার স্থলমাইন পুঁতে রাখার আশঙ্কা থাকলেও সুনির্দিষ্ট কোনো সতর্ক সংকেত না থাকায় টহল অব্যাহত রাখা হয়েছিল।

এদিকে নিয়মিত টহলের মধ্যে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ১৯ নম্বর পিলার থেকে আনুমানিক ৪ কিলোমিটার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে টহল চলাকালে মাটিতে পুঁতে রাখা স্থলমাইনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুইজন গুরুতর আহত হন।

আহত দুইজন হলেন উখিয়ার থাইংখালী ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদ (২৮) ও ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. শফিক (২৪)। এরা সীমান্ত পার হয়ে মায়ানমারে গিয়েছিলেন।

নাফ নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া এক জেলে জানান, কয়েকজন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় আহত দুই ব্যক্তিকে নৌকাযোগে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে অনুপ্রবেশ করতে দেখেছেন তিনি। তবে অন্ধকার থাকায় সঠিক কতজন ছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (ইউপি মেম্বার) সিরাজুল মোস্তফা লালু জানান, সোমবার সন্ধ্যায় নাফ নদীর হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে আহত অবস্থায় দুইজনসহ কয়েকজন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তারা মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে আহত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।

অপরদিকে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতাল সূত্র বলছে, ১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত দুই রোহিঙ্গাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

এ বিষয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর শনিবার ভোরে টানা কয়েকঘন্টা ধরে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা আর্মির (এআরএ) মধ্যে টেকনাফ সীমান্তসংলগ্ন নাফ নদীর হাঁসের দ্বীপ, বিলাই চর দ্বীপ ও তোতার দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তীব্র সংঘর্ষ হয়। ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা ওই সংঘর্ষে প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দে পুরো সীমান্ত এলাকা কেঁপে উঠে। ওই সময় সীমান্ত এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

সংঘর্ষ চলাকালে সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া কয়েকটি গুলি বাংলাদেশের ভেতরে এসে পড়ে। এতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কয়েকটি বসতঘরের টিনের চালে ছিদ্র হয়। ওই সময় চিংড়ি ঘের ও কৃষিজমিতে গুলি এসে পড়ার ঘটনাও ঘটে।

এদিকে মিয়ানমার জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে রাখাইন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর, সেনা ও পুলিশ ক্যাম্পসহ বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের প্রায় ২৭১ কিলোমিটার এলাকা ও চৌকি বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ) দখলে নেয়। সেসব এলাকা পুনর্দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে জান্তা সরকার। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীও রাখাইনের গৃহযুদ্ধে সক্রিয় হয়ে পড়েছে।

চাটখিলে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যুবদল নেতার মৃত্যু

চৌদ্দগ্রাম ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতা

বিজয় দিবসে সাতকানিয়ায় জামায়াতের যুব র‍্যালি

ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে বাইক রাইডার নিহত

বিজয় দিবসে চট্টগ্রামে শহীদদের স্মরণ

বাঁশখালীর বিষমুক্ত শুঁটকি রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

ঈদগাঁওয়ে সেচ বাঁধের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

বাঁশখালীতে একদিনের ব্যবধানে চার অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৪

আমাদের কঠোর হতে বাধ্য করবেন না: জেলা প্রশাসক

তিতাসে নতুন গ্যাসকূপের খনন শুরু, দিনে মিলবে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট