শরীয়তপুরের ডামুড্যায় কুতুবপুর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোর মোটরের সঙ্গে বোরকার ওড়না পেঁচিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক গার্মেন্টস কর্মী। সোমবার সকাল ৯টায় কুতুবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই তার শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত আসিমা বেগম (৩২) পূর্ব ডামুড্ডা ইউনিয়নের দাইমিচর ভৈরব গ্রামের মোহাম্মদ আসাদ হাওলাদারের স্ত্রী। তাদের আয়মন নামে সাত বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আসিমা ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। কয়েকদিন আগে ছেলের আকিকা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্বামীর বাড়িতে আসেন। অনুষ্ঠানের পর সোমবার সকালে আকিকার মাংস নিয়ে বাপের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে যাচ্ছিলেন তিনি। ডামুড্যা বাজার থেকে অটোরিকশায় ওঠার কিছুক্ষণ পর কুতুবপুর এলাকায় তার বোরকার ওড়না অটোর মোটরের সাথে পেঁচিয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে।
ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা বলেন, আমি বাজারে যাওয়ার পথে খবর পাই। এসে দেখি অটোর ভেতরে দেহ, আর সড়কের পাশে মাথা পড়ে আছে। এমন দৃশ্য জীবনে কোনওদিন দেখিনি। সাথে সাথে পুলিশকে খবর দেই।
নিহতের স্বামী মোহাম্মদ আসাদ হাওলাদার বলেন, আমার ছেলের আকিকা ছিল বলে সে ঢাকা থেকে আসে। সকালে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়। কিছুক্ষণ পর ফোনে জানায় স্ত্রী এক্সিডেন্ট করেছে। এসে দেখি আমার স্ত্রীকে আর জীবিত পাইনি। আমি তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, ওড়না অটোর মোটরের সাথে পেঁচানোর পর ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি।