বিএনপি–জামায়াত সংঘর্ষ
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে ঘিরে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি চালানোর একটি ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই সেই ফুটেজ গণমাধ্যমেও ভাইরাল হয়। অবশেষে খোঁজ নিয়ে অস্ত্র হাতে দেখা ওই যুবকের পরিচয় মিলেছে।
ভাইরাল হওয়া যুবকের নাম তুষার মণ্ডল। তিনি ঈশ্বরদী পৌর শহরের ভেলুপাড়া এলাকার তাহের হোসেনের ছেলে।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব অভিযোগ করে বলেন—“প্রকাশ্যে দিবালোকে তুষার মণ্ডল আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছে। সে জামায়াত নেতা তালেব মণ্ডলের ভাতিজা মামুনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও জামায়াত কর্মী।”
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল। বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন—“অস্ত্র হাতে ভাইরাল হওয়া ওই যুবক জামায়াতের কেউ নন। আমাদের দলের সঙ্গে তার ন্যূনতম সম্পর্কও নেই।”
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.স.ম. আব্দুন নূর আমার দেশকে বলেন, “বিভিন্ন সূত্র থেকে ওই যুবকের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। শতভাগ নিশ্চিত হয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি আলহাজ মোড় (জগির মোড়) এলাকায় জামায়াত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল গণসংযোগে গেলে পূর্ববর্তী বিরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপির জেলা আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের অনুসারী ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধার নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় জামায়াতের অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সংঘর্ষে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম, কৃষক দলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধা সহ উভয় দলের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। স্থানীয় জনমনে এখনো উদ্বেগ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।