বগুড়ার শেরপুরের পল্লীতে মুক্তা খাতুনের (১৯) নামের এক গৃহবধুর লাশ রেখে স্বামীসহ পরিবারের সবাই বাড়ি থেকে উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮টায় উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মুক্তা লাঙ্গল মোড়া গ্রামের বুলু মিয়ার মেয়ে ও ইয়াসিন আলীর স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহবধূ মুক্তা সন্ধ্যায় বিষপান করলে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গৃহবধূর ভাই মাসুদ জানান, প্রতিবেশীরা আমাকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইলে জানায় আমার বোন মুক্তা গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ সময় মাসুদ মুক্তার স্বামী ইয়াসিনের সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে ওই প্রতিবেশী বলেন তারা সবাই লাশ রেখে বাড়ি থেকে পালিয়েছে। খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে শেরপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) জয়নুল আবেদিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে অপমৃত্যু মামলা দায়েরের পর ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।