কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার পাত্রখাতা গ্রামের পূর্ব চর পাত্রখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা বন্দোবস্ত প্রাপ্ত সরকারি জমিতে স্থাপনা নির্মাণের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এ ভোগান্তি চলায় কোনো সমাধান না পেয়ে শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে সড়কের ধারে গাছতলায় পাঠদান শুরু করেছেন।
জানা যায়, ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে ছয়জন শিক্ষক এবং ১০৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র পথ ছিল ওয়াবদা খালের বাঁধ। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা এই পথ ব্যবহার করেই স্কুলে আসা-যাওয়া করতেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষকরা সড়কের পাশে গাছতলায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন। পূর্বে যে পথ দিয়ে তারা বিদ্যালয়ে যেতেন, সেখানে এখন বসতি স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক শাহ্ আলম বলেন, ‘১৯৮৮ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের উদ্যোগে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর আমরা চারজন শিক্ষক পাঠদান শুরু করি। এরপর ২০১৩ সালে এসে বিদ্যালয়টিকে সরকারিকরণ করা হয়। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ ছিল ওয়াবদা খালের বাঁধ, যা এখন বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, বিদ্যালয়ের জমিদাতা ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য সেকেন্দার আলী। তিনি বিদ্যালয়ের নামে ৩৫ শতাংশ জমি দান করেন। স্কুলে যাওয়ার একমাত্র পথ ছিল ৩১৩৫ দাগ ও ৩১৩৬ দাগের জমির ওপর দিয়ে যাওয়া ওয়াবদা খালের বাঁধ।
এর মধ্যে ৩১৩৬ দাগ সরকারি খাসজমি। ২০১৬ সালের দিকে অষ্টমীর চরের জাহাঙ্গীর আলম নিজেকে ভূমিহীন দেখিয়ে ৩১৩৬ দাগে ১৫ শতাংশ ও ৩১৩৭ দাগে ২১ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত নেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি তার শ্যালক কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ইউএনও মাইদুল ইসলামের প্রভাব খাটিয়ে বন্দোবস্তকৃত জমি ছাড়াও উত্তরের ৩১৩৫ দাগও দখলে নিয়ে সেখানে বসতি গড়ে তোলেন। এতে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন ও সুম্মা খাতুন বলেন, ‘রাস্তা না থাকায় পাশের দুটি বাড়ির ভেতর দিয়ে স্কুলে আসতে হয়। বাড়ি দুটির পাশে বড় গর্ত আছে। বর্ষায় সে গর্ত পানিতে ভরে যায়।