রংপুরে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এম আবদুল্লাহ
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ বলেছেন, সাংবাদিকদের দলীয় দাসত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নিজের দলের আদর্শের অনুসারী সরকার থাকলেও চোখে চোখ রেখে অধিকারের প্রশ্নে কথা বলার সৎ সাহস থাকতে হবে। তাহলে আপনাদের সমস্যার সমাধান হবে। একটি দলের প্রতি আপনার দুর্বলতা থাকতে পারে কিন্তু পেশায় সেটার প্রভাব পড়তে পারবে না।
শনিবার রংপুর টাউন হল অডিটোরিয়ামে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ও সাংবাদিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুর জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উপ-পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) এ বি এম রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান।
এম আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের মিডিয়াবান্ধব বাংলাদেশ পরিবেশ নেই। একটি টেলিভিশনকে যখন আপনি বলবেন ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন দিতে তখন ওই মিডিয়ার মালিক সরকারকে বলবে আপনি আমাকে কী দেবেন। আপনি হুকুম দিচ্ছেন সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা সাংবাদিকদের দিতে। আপনি সরকার আপনি কী দিচ্ছেন সেটা বলেন। সরকার মিডিয়াকে সাপোর্ট দেওয়ার মতো বাংলাদেশ এখনো হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা দলবাজি পরিত্যাগ করি। পেশাদারত্বকে সমুন্নত রাখি। যে কোনো সরকারের লেজুড়ভিত্তি থেকে বেরিয়ে আসি। দলের লেজুড়ভিত্তি থেকে মুক্ত হতে পারলে পরিবর্তন হবে ইনশাল্লাহ।
কিছু সংবাদপত্রের প্রশংসা করে এম আবদুল্লাহ বলেন, এখনো অনেক সংবাদপত্র মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে অফার করা হয়েছে সরকারের সঙ্গে একটি সফরে যাওয়ার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের একজনকে মনোনয়ন করা হয়েছে। সেই পত্রিকা অফিস থেকে বিনয়ের সঙ্গে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে দুঃখিত সরকারি খরচে বিদেশ যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হবে না। এরকম প্রত্যেক মিডিয়া যেদিন করতে পারবে সেদিন ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।
তিনি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লব নিয়ে আমরা কাজ করছি। জুলাই বিপ্লবের শহীদ সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ইতোমধ্যে তাদের কয়েক দফায় সেখানে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আমরা শহীদ সাংবাদিক পরিবারের পাশে আছি।
রংপুরের ১৯ জন অসুস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকের মধ্যে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। এ সময় এ বিভাগে কর্মরত চার শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।