দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বন বিভাগের গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই ছেলেসহ আ.লীগ নেতাকে আটক করেছে স্থানীয়রা। আটক মোকছেদুল আলম উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
স্থানীয়া বন বিভাগে খবর দিলে মধ্যপাড়া রেজ্ঞ কর্মকর্তা আল আমিন হকতার সঙ্গীয় ফোর্স নিযে এসে কাটা গাছসহ ভ্যান জব্দ করে নিযে যায়। এ ব্যাপারে মামলা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি আমার দেশকে বলেন, দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে। তিনি যে ব্যবস্থা নিতে বলবে আমি সেই মতে ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, হাবড়া বন বিভাগের বন রক্ষকারী কমিটির সভাপতি মোকছেদুল আলম নিজে গাছ কেটে বিক্রি করে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করে আসছে। মোকছেদুর আলম তিনি এ কজন আওয়ামী লীগের নেতা ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা কালে এলাবাসীর হক মেরে নিজে বন রক্ষা কমিটির সভাপতি হয়েছেন। সেই সুবাধে উপজেলার এরশাদ নগরের মৃত্যু আবদুর রহমানের ছেলে আ. রশিদ, মন্ডলপাড়া গ্রামের মো. বাবু, চান্দা পাড়াগ্রামের আজাহারের ছেলে জিয়াউর রহমান, মধ্যদর্গাপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে আকতারুল ইসলাম, দর্গাপাড়া গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে পলাশ, খাদেমুল ইসলামের ছেলে মো. রিপনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
এলাকাবাসী মেজবাহুল ইসলাম বলেন, আমি ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক। আমাকে বনবিভাগের রক্ষাকমিটির সদস্য করবে বলে আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিযেছে। তারপরও আমাকে সদস্য করেনি। তিনি আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা সে কারণে তার নিকট আত্মীয়দের সদস্য করেছে। এমনকি বাইরের লোকজনদের সদস্য করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভবানীপুর বন বিট কর্মকর্তা এমডি ফোরকানুল আলম সাথে মুঠোফোনে আমার দেশকে বলেন, সভাপতি আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। আমি ইতিপূর্বে সভাপতির ছেলে রাজ্জাককে বনের ভেতরে গাছের ডালপালা কাটা অবস্থায় ধরেছিলাম। আমি তাকে বলেছি কোনো অনুমতি ছাড়া গাছের কোনো কিছু কাটা যাবে না। তারপরও আজকে গাছগুলো কেটেছে ।