রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মৌসুমের আগেই আলু তোলায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। গত বছরের দরপতনে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ায় অনেকেই এ বছর ঝুঁকি নিয়ে আগাম আলুর চাষ করেছিলেন।
এখন বাজারে তুলনামূলক উচ্চদর থাকায় সেই ক্ষতি কাটানোর নতুন আশা দেখা দিয়েছে তাদের চোখেমুখে । তবে কৃষকরা বলছেন, ভারতীয় আলু চোরাইপথে ঢুকতে থাকলে স্থানীয় আলুর বাজারদর ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া সদ্দারপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন তার জমিতে আলু তোলায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। গত মৌসুমে চার বিঘায় ১০৫ বস্তা আলু হিমাগারে রাখতে হয়েছিল। বাজারে দাম কমে যাওয়ায় ৯৫ বস্তা বিক্রি করে খরচ বাদে হাতে আসে মাত্র ১৫ হাজার টাকা। এ বছর সেই লোকসানের কিছুটা পুষিয়ে নিতে তিনি আগাম আলুতে মন দিয়েছেন। জাহাঙ্গীর জানান, ১০ বস্তা আলু বীজ হিসেবে রেখে ৪০ শতক জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণ করেন। তার ধারণা, এবার প্রায় ১৫ বস্তা আলু উঠবে। বর্তমান বাজারে আলুর দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। সেই হিসেবে তার সম্ভাব্য বিক্রি হবে ৩৬ হাজার থেকে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা। এই দামে বিক্রি করতে পারলে গত বছরের ক্ষতির একটু হলেও ভার লাঘব হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সয়েদ শাহিনুর ইসলাম জানান, পুরো উপজেলায় এখনো ব্যাপক আলু তোলার কাজ শুরু হয়নি। কয়েকজন কৃষকই আগাম চাষ করেছিলেন। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহেই নতুন আলুর সরবরাহ বাড়বে। আশা করছি কৃষকরা এবার তুলনামূলক ভালো দাম পাবেন এবং গত বছরের ক্ষতির একটা অংশ পুষিয়ে নিতে পারবেন।