যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৭ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট আবারও উৎপাদনে ফিরেছে।
রোববার বেলা ২টার দিকে প্রথম ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি থেকে প্রতিদিন ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। প্রথম ইউনিটি চালু রাখতে দৈনিক ‘৮০০ থেকে ৯০০’ মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হবে।
১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথম ইউনিটের বয়লারের পাইপ ফেটে যাওয়ায় ১২৫ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে ১৬ অক্টোবর সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি ৭ দিন বন্ধ থাকার পর মেরামত কাজ শেষে রোববার থেকে প্রথম ইউনিটে উৎপাদন শুরু হয়েছে।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট দুটি ১২৫ মেগাওয়াটের এবং তৃতীয় ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ৪ বছর ১১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, প্রথম ইউনিটের মেরামত শেষে ইউনিটটি বেলা ১২টায় বয়লারে ফায়ারিং করা হয়। রোববার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটির মেরামত কাজ চলমান। দুই একদিনের মধ্যে শীঘ্রই সেটিও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরবে।