হোম > সারা দেশ > রংপুর

পাঁচ বছর বন্ধ সেতাবগঞ্জ চিনিকল নষ্ট হচ্ছে শতকোটি টাকার যন্ত্রপাতি

আবুল ওহাব, বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর)

থাকায় রক্ষাবেক্ষণের অভাবে মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে শতকোটি টাকার যন্ত্রপাতি। বেকার শ্রমিক-কর্মচারীরা অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন । এই পরিস্থিতিতে চিনি কলটি পুনরায় চালুর দাবি উঠেছে। এই দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলন জোরদার করেছে ।

সেতাবগঞ্জ চিনিকল পুনরায় চালুর দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বোচাগঞ্জ। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা এই চিনিকল দ্রুত চালুর দাবিতে এলাকাবাসী, আখচাষি ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ-সমাবেশ, স্মারকলিপি ও মানববন্ধন করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের প্রধান ফটকে ‘সেতাবগঞ্জ চিনিকল পুনঃচালনা আন্দোলন পরিষদ’-এর উদ্যোগে সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

পাঁচ বছর ধরে সেতাবগঞ্জ চিনিকল বন্ধ থাকায় হাজার হাজার শ্রমিক ও আখচাষির জীবিকার পথ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। মিলের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশও দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয় বন্ধ থাকা ছয়টি চিনিকলের আখমাড়াই কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে। চিনিকলগুলো পুনরায় চালু করা এবং লাভজনকভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশ ও মতামতের আলোকে ধাপে ধাপে মাড়াই কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে সেতাবগঞ্জ ও শ্যামপুর চিনিকল, দ্বিতীয় পর্যায়ে পঞ্চগড় ও পাবনা চিনিকল এবং তৃতীয় পর্যায়ে কুষ্টিয়া ও রংপুর চিনিকলের আখমাড়াই কার্যক্রম পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত হয়। ১ হাজার ২৫০ টন চিনি উৎপাদন ক্ষমতার সেতাবগঞ্জ চিনিকলের মোট জমির পরিমাণ ৩ হাজার ৮৬২ একর। প্রতিষ্ঠানটির চাকা বন্ধ থাকার পরও চিনিকলের জমিতে ১ হাজার ৩০০ একর আখ রোপণ করা হয়েছে। বর্তমানে এই আখমাড়ায়ের জন্য ঠাকুরগাঁও মিলে দেওয়া হচ্ছে। ১ হাজার ৬৩৭ একর জমি সাধারণ মানুষ কৃষি আবাদের জন্য লিজ নিয়ে বছরে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ কোটি টাকা আয় করছে।

চিনিকলটি আখমাড়াই স্থগিত থাকায় বর্তমানে নিয়মিত ২৭৫ জন, মৌসুমি ৩০০ জনকে অন্য চিনিকলে সংযুক্ত করা হয়। এছাড়াও চুক্তিভিক্তিকও কাজ নেই, মজুরি নেই এমন প্রায় ১ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে গেছে।

বর্তমানে সেতাবগঞ্জ চিনিকলে যে আখ উৎপাদন হচ্ছে। এ দিয়ে মিল ২০ থেকে ২২ দিন চলতে পারবে। ৩ হাজার একর আখ উৎপাদন হলে মিল ৬০ দিন চালানো যাবে।

১৯৩৩ সালে ভারতের কিবালিন সুরজমল আগরওয়ালা এবং নাগরমল আগরওয়ালা ইন্দোনেশিয়া হতে পুরাতন ৮ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন সেতাবগঞ্জ চিনিকল স্থাপন করেন।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চিনিকলটির মেশিনপত্র ধ্বংস হওয়ায় ১৯৭৪ সালে মিলটি লে-অফ ঘোষণা করা হয়। ১৯৮২ সালে মিলটিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করে পুনরায় উৎপাদন শুরু করা হয়। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের রাষ্ট্রীয় শিল্প ধ্বংস নীতির কারণে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছয়টি চালু চিনিকল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সেতাবগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ আবুল বাশার বলেন, বর্তমানে চিনিকলের প্রায় ১ হাজার ৩০০ একর জমিতে আখ রোপণ করা হয়েছে। যা ঠাকুরগাঁও চিনিকলে মাড়াইয়ের জন্য দেওয়া হয়। এছাড়া ১ হাজার ৬৩৭ একর জমি সাধারণ মানুষের কাছে কৃষি আবাদে লিজ দেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে বছরে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ কোটি টাকা আয় হয়। চিনিকল সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের জন্য বাজেট পাস হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

সাঘাটায় ১১ ইটভাটার পরিবেশের ছাড়পত্র নেই তবুও মিলেছে বিদ্যুৎ সংযোগ

নীলফামারীতে অসময়ের বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

স্বৈরাচারী সরকারের সময় দলবাজি করে অনেক শিক্ষক চাকরি নিয়েছেন

দিনাজপুরে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ

টাকা আত্মসাতের মিথ্যা মামলায় বিপর্যস্ত যুবকের জীবন

মেম্বারের বাড়িতে দুদিন ধরে পেটানোর পর যুবকের মৃত্যু

পীরগাছায় কিশোর কণ্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

মেধাবৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে এটিএম আজহার

পঞ্চগড়ে শিয়ালের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ১৩

ভুলভাবে রায় বাস্তবায়ন, খোলা আকাশের নিচে ৩ পরিবার