সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই - শাল্লা) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট শিশির মনির বলেছেন, আমি জীবনে একবারই নির্বাচন করব। আমি চাইনা এক পদ একজন বারবার ব্যবহার করুক। এতে গতিশীল নেতৃত্ব তৈরি হয়না। আমি চাই পরবর্তী প্রজন্মের লোকজন এসে হাল ধরুক।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় শহরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সুনামগঞ্জে কর্মরত গণমাধ্যম-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ -৪ নির্বাচনী আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট শামস উদ্দিন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মিজানুর রহমান।
শিশির মনির বলেন,আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হই তাহলে আমার নির্বাচনী আসন দিরাই-শাল্লায় প্রতিমাসে গণপার্লামেন্ট করবো৷ যাতে ইউওনও-ওসিসহ সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে আমরা জনগণের মুখোমুখি করতে পারি। আমিও জনগণের মুখোমুখি হবো। তাদের কি সমস্যা আছে আমরা শুনব৷ আমরা ভুল করলে কোন কাজে ঘাটতি থাকলে দু:খ প্রকাশ করবো। সোজা কথা আমরা সিস্টেম পরিবর্তন করতে চাই। এই সিস্টেমের কারণেই আমাদের দেশে ভালো মানুষও খারাপ হয়ে যাচ্ছে৷ সিস্টেম ভালো হলে অসৎ মানুষও অপেক্ষাকৃত ভালো হতে বাধ্য।
শিশির মনির সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা নিয়ে আমিও ক্ষুব্ধ। আমিও চাই দ্রুত এই বিচার হোক৷ দেখা গেছে দুই একটা ক্লু নিয়ে তারা সন্দেহের মধ্যে পড়ে গেছেন৷ সর্বশেষ যখন তিনমাস সময় বাড়ানো হয়েছে তখন আমি ক্ষোভ প্রকাশ করেছি৷
তিনি আরো বলেন, সামনে নির্বাচনে এ আই নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বড় চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে। এআইয়ের ব্যবহারের কারণে অনেক প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। ভালো মানুষকে খারাপ বানানো হবে। একজনের ছবি দিয়ে আরেকজনের ভয়েস লাগিয়ে বিভ্রান্ত করা হবে। আগামী নির্বাচনে এআই একটা ভয়ংকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নির্বাচন কমিশন কাজ করছে৷ সাংবাদিকরা যাচাই বাছাই করে নিউজ করার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, সকল এম পি প্রার্থীদের এক মঞ্চে তোলা হবে। ডিবেট করা হবে। জনগণ জানতে প্রার্থীরা কি করতে চান। এমনকি প্রার্থীদের যোগ্যতাও যাচাই হবে। চাকসু,ডাকসু ইতিমধ্যে প্রার্থীদের নিয়ে ডিবেট করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সুনামগঞ্জেও সাংবাদিকরা মিলে ডিবেটের আয়োজন করতে পারেন।