রেহানা-টিউলিপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি
রাজউক পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষগ্রহণ হয়নি আজ। তবে এদিন তিন মামলায় কারাগারে থাকা রাজউক কর্মকর্তা খুরশিদ আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতে এ আবেদন করেন তারা৷ আবেদনের শুনানি নিয়ে আসামির উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিসহ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামি ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট মো. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তনি বলেন, এদিন আদালতে পৃথক তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের করা পৃথক তিন মামলায় ৫৪ জনের সাক্ষীগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে।
এসব মামলার মধ্যে শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য শেষ হয়েছে ১৯ জনের। এ মামলার মোট চার্জশিটভুক্ত সাক্ষী ২৬ জন।
আজমিনা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য শেষ হয়েছে ১৬ জনের। এ মামলার মোট চার্জশিটভুক্ত সাক্ষী ২২ জন। আর রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য শেষ হয়েছে ১৯ জনের। এ মামলার মোট চার্জশিটভুক্ত সাক্ষী ২৮ জন।
এর আগে গত ৩১ জুলাই এসব মামলায় চার্জগঠন করে বিচার শুরু আদেশ দেন আদালত। চার্জগঠনের শুনানির সময়ে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এসব মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছে, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পৃথক ৬টি মামলা দায়ের করে দুদক।