হোম > আইন-আদালত

রিমান্ড শেষে কারাগারে আনিস আলমগীর

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদলাত।

শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাতের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই শামীম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ। এরপর তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি।

আবেদনে বলা হয়, পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আনিস আলমগীরকে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে মামলাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্যাদি যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। যাচাইয়ে তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে পুনরায় রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এ অবস্থায় তাকে কারাগারে আটক রাখা আবশ্যক।

এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজনীন নাহারসহ কয়েকজন আইনজীবী কারাগারে তার ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।

সমসাময়িক রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে টেলিভিশন টকশোতে নিজের বক্তব্যের কারণে সম্প্রতি আলোচনা-সমালোচনায় ছিলেন তিনি। ফেসবুকে দেওয়া তার বিভিন্ন পোস্ট নিয়েও আলোচনা সমালোচনা চলছে কয়েক দিন ধরে।

গত ১৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এরপর মধ্যরাতে জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স নামে একটি সংগঠনের সদস্য আরিয়ান আহমেদ আনিস আলমগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার অভিযোগে মামলা করে। পরের দিন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ মামলায় আরও তিন আসামি হলেন- অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, মারিয়া কিসপট্টা (ফ্যাশন মডেল) ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ (উপস্থাপক)।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা আগে থেকে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় রয়েছে। তারা গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠনকে ফিরে আনার জন্য অপ্রচার ছড়িয়ে আসছে। ১৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আরিয়ান আহমেদ উত্তরা পশ্চিম থানার ১১নং সেক্টরস্থ ৫নং রোডের ৫নং বাসায় বসে মোবাইলে দেখতে পান, আসামিরা ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার পাঁয়তারা করছেন। তাদের বিভিন্ন পোস্টের ফলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা অনুপ্রাণিত হয়ে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও রাষ্ট্রের অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছিল।

হাদি হত্যাচেষ্টার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত

হাদি হত্যা: অভিযুক্ত ফয়সালের স্ত্রী-শ্যালক ও বান্ধবী ফের রিমান্ডে

টুকুর ছেলে নাফিস ও তার স্ত্রীর সম্পদ বিবিরণীর দাখিলের আদেশ

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন

আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

হাদিকে গুলি: ফয়সালকে পালাতে সাহায্যকারী আরো দুইজন রিমান্ডে

সন্ত্রাসীদের জামিন: প্রধান বিচারপতির কাছে উদ্বেগ আইন উপদেষ্টার

যুবদল নেতা হত্যা মামলায় সুব্রত বাইনের মেয়ে রিমান্ডে

গুমের মামলায় হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ

কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা