বিটিআরসির ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় ১২ জনের জামিন বাতিলের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্র পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২৭ অক্টোবর বিটিআরসির ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ১২ জনের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে গত ১০ নভেম্বর তাদের জামিন বাতিল চেয়ে মহানগর দায়রা আদালতে রিভিশন আবেদন দায়ের করা হয়। এদিন আদালত রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করে জামিন বাতিলের আদেশ দেন।
জামিন বাতিল হওয়ায় আসামিরা হলেন, আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ মঈনুল হক, (অব.) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল হান্নান, আশিক আহমেদ, গাজী মো. সালাহউদ্দিন, হাফিজুর রহমান, খালিদ ইসলাম, মো. মাহতাবুল আমিন, সোহেল শরীফ, তাজিন আলম, নাদির শাহ কোরেশী, মীর নাসির হোসেন ও সিসিও মুসফিক মনজুর।
এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিটিআরসির পক্ষে সংস্থাটি সিনিয়র সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম গুলশান থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সালমান এফ রহমানসহ ২৭ জন এজাহারনামীয় আসামি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) গঠনের পর প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স এবং চুক্তির শর্ত ও বিশ্বাস ভঙ্গ করাসহ প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাত করে। নেটওয়ার্ক উন্নয়নে আদায়কৃত মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের টাকা আত্মসাতে জড়িত ছিল আইওএফ কার্যনির্বাহী কমিটির এসব সদস্য।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক কল পরিচালনায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক গেটওয়ে খাত কুক্ষিগত করেন সালমান। তার প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে গড়ে ওঠে আইওএফ নামের এই সিন্ডিকেট।
আরও বলা হয়, সালমান এফ রহমানের নির্দেশনায় প্রতি মাসে আইজিডব্লিউ অপারেটরদের বিপুল অঙ্কের অর্থ জমা দিতে হতো তার মালিকানাধীন বেক্সিমকো কম্পিউটারস লিমিটেডে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটির নামে আইজিডব্লিউ পরিচালনার কোনো লাইসেন্স নেই।
মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের নামে অর্থ সংগ্রহ করা হলেও এর প্রকৃত ব্যবহার সম্পর্কে অবগত নন খোদ আইজিডব্লিউ অপারেটররাই।