রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে প্রাণবন্ত পরিবেশে ‘বাংলাদেশ বাণিজ্য মেলা ২০২৫’।
শুক্রবার মেলা ঘুরে দেখা যায়, দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়। কেউ অফিস সহকর্মীদের সঙ্গে এসেছেন, কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, আবার কেউবা এসেছেন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে। তারা মেলা ঘুরে ঘুরে দেখছেন এবং পছন্দের পণ্য কিনছেন। কেউ ফুড কর্নারের নানা পিঠাপুলি ও দেশি-বিদেশি খাবারের স্বাদ গ্রহণ করছেন।
মেলায় প্রায় ১৫০টি স্টল বসেছে। এসব স্টলে রয়েছে দেশীয় লাইফস্টাইল পণ্য, কারুশিল্প, খাবার, কসমেটিকস, পোশাক, আবাসন প্রকল্প ও নানারকম দৈনন্দিন ব্যবহার্য সামগ্রী।
মেলার বিভিন্ন রকমের খাবারের আয়োজন তো আছেই, আরো রয়েছে আধুনিক ফ্যাশন ও কসমেটিক্স প্যাভিলিয়ন, বিউটি মেশিনারিজ ও জুয়েলারি কর্নার এবং হোম ডেকোরেশন সামগ্রী। মেলায় পাওয়া যাচ্ছে বিছানার চাদর, বালিশ ও হোটেল ডেভেলপার কোম্পানিগুলোর স্টল, যেগুলো মেলায় যুক্ত করেছে এক ভিন্নমাত্রা।
এছাড়া আছে ইরানি স্টলে দৃষ্টিনন্দন পণ্য। দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে ইরানি প্লাস্টিক পণ্য, কাঠের রুটি মেকার, আর বেত-বাঁশের দৃষ্টিনন্দন আসবাবপত্র। বিশেষ করে জুয়েলারি ও পোশাকের দোকানগুলোয় নারীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
‘বাংলাদেশ বাণিজ্য মেলা ২০২৫’ দেশীয় উদ্যোক্তাদের উৎসবমুখর মেলা। তবে বিদেশি স্টল দেখা যায়।
দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য রয়েছে কিডস জোন, ফুড কর্নার ও স্বাস্থ্যসেবা বুথ। শিশুদের জন্য আছে আলাদা রাইডস ও খেলাধুলার আয়োজন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয় মাত্র ২০ টাকা।
প্রতিটি স্টলেই চলছে বৈচিত্র্যময় অফার ও ছাড়ের আয়োজন, যাতে ক্রেতারা পছন্দের পণ্যসাশ্রয়ী দামে কিনতে পারেন।
১৫ অক্টোবর বুধবার এক্স-গ্রুপ চেইন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে এই মেলা শুরু হয়। ১২ দিনব্যাপী এই মেলা আজ ২৬ অক্টোবর শেষ হচ্ছে।
আয়োজকদের আশা, আবারও এই মেলা রপ্তানিমুখী করার। আগে এই মেলার মূল উদ্দেশ্য ছিল রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, যদিও এখন তা ক্রমে এক ধরনের জাতীয় অনুষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।
১২ দিনব্যাপী এই মেলা দেশীয় উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শন, ব্যবসায়িক সংযোগ স্থাপন ও পরিবার-পরিজন নিয়ে একদিনের আনন্দময় সময় কাটানোর অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠে।