চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেছেন, আল্লামা ইকবালের চেতনা ছিল ধর্ম ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে জাতি গঠন করা। তিনি বার বার বলেছিলেন, মুসলিম সংস্কৃতি, মুসলিম ধর্মীয় চিন্তা নিয়ে মুসলমানদের পৃথিবীর বুকে টিকে থাকতে হবে। তাঁর এমন চিন্তার পরই ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব হয়।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার মিলনায়তনে ‘আল্লামা ইকবালের জাতীয়তাবাদ বিষয়ক ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ সোহেলী আফরোজ।
অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান বলেন, এরপরই দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তানের জন্ম হয়। পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা। বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হওয়ার পিছনে আল্লামা ইকবালের চিন্তার অবদান রয়েছে। আল্লামা ইকবাল ছিলেন একাধারে কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক।
সেমিনার স্পিকার অধ্যাপক ড. বশিরা আমব্রিন বলেন, ইকবাল জাতিগত বা ভৌগোলিক বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐক্যকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। তারুণ্যের জাগরণ চেয়েছিলেন। তিনি দ্বি-জাতি তত্ত্বের অন্যতম প্রবক্তা ছিলেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে, মুসলমানরা একটি স্বতন্ত্র জাতি এবং তাদের রাজনৈতিকভাবে নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার অধিকার আছে।
তিনি বলেন, আল্লামা ইকবাল ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক আইকন। তিনি ছিলেন মানবতার কবি, আত্মোপলব্ধির কবি। বর্তমান সমগ্র জাতিকে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আল্লামা ইকবালের মানবকল্যাণ নীতি অনুসরণ করতে হবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, চবি আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, লাহোরের ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনের প্রফেসর ওয়াহিদুর রহমান, চবি ফারসি বিভাগের ভিজিটিং প্রফেসর ড. মেহরান নাজাফি হাজিবার, চবি আরবি বিভাগের প্রফেসর ড. আ.ক.ম. আবদুল কাদের প্রমুখ।