হোম > ফিচার > ক্যাম্পাস

মব উসকানোর অভিযোগ, ঢাকা কলেজের শিক্ষককে ভোলায় বদলি

ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি

মব উসকানোয় অভিযুক্ত ঢাকা কলেজের শিক্ষক রফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত।

প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মব উসকনোর চেষ্টার অভিযুক্ত ঢাকা কলেজের শিক্ষক আ. ক. ম. রফিকুল আলমকে বদলি করা হয়েছে। তিনি ঢাকা কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তাকে চরফ্যাশন সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি কলেজ–২) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তানিয়া ফেরদৌসের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলির সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) তারিখের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল হতে অবমুক্ত হতে হবে। অন্যথায় একই তারিখ অপরাহ্নে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন। বর্ণিত কর্মকর্তা আবশ্যিকভাবে স্ব স্ব পিডিএস এ লগইনপূর্বক অবমুক্ত ও যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

শিক্ষক রফিকুল আলমের বদলির খবরে শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, যেসব শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কোনো অপকর্মে জড়ানোর চেষ্টা করেন বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে চান, তাদের পরিণতি এমনই হওয়া উচিত। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বদলি হয়ে যেতে হবে। শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর; কিন্তু সেই শিক্ষকই যদি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মব তৈরির মতো কর্মকাণ্ডে উস্কানি দেন, তাহলে তার নৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, একজন শিক্ষকের দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের পথ দেখানো ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা, বিভাজন বা সহিংসতা উস্কে দেওয়া নয়। আমরা আশা করি, বদলি হওয়া কলেজে শিক্ষক রফিকুল আলম তার মেধা, যোগ্যতা ও পেশাগত দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সাত কলেজকে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি, হাইব্রিড মডেল কিংবা স্কুলিং পদ্ধতিতে রূপান্তরের রূপরেখা বাতিলের দাবিতে একটি অনলাইন জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

ওই জুম মিটিংয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে আ. ক. ম. রফিকুল আলম সাত কলেজকে শিক্ষা ক্যাডারের “হৃদপিণ্ড” হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা ক্যাডারে মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে হলে সাত কলেজকে কেন্দ্র করে একটি শক্তিশালী ও মানসম্মত কাঠামো বজায় রাখা জরুরি।

ফাঁস হওয়া বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, সাত কলেজ হাতছাড়া হয়ে গেলে ধীরে ধীরে অন্যান্য বড় কলেজগুলোকেও বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা হতে পারে। এজন্য শিক্ষা ক্যাডারের ব্যানারে সম্মিলিতভাবে আরো সুসংগঠিত ও ধাপে ধাপে বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যেতে হবে।

তিনি দাবি করেন, সাত কলেজ আন্দোলনের উৎপত্তি ঢাকা কলেজ থেকেই। ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা কোনো স্কুলিং মডেল চায় না; তারা একটি অধিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামো চায়, যেখানে সাত কলেজের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে।

ফাঁস হওয়া বক্তব্যে “ছাত্রদের দিয়েই কাউন্টার বা মব করতে হবে” এমন মন্তব্যও আলোচনার জন্ম দেয়। পাশাপাশি তিনি ইডেন কলেজের আন্দোলনের দৃষ্টান্ত টেনে বলেন, প্রতিটি কলেজ থেকে যদি শিক্ষার্থীদের এভাবে সক্রিয় করা যায়, তাহলে আন্দোলন সফল হবে।

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

আমরা চলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছি: ধর্ম উপদেষ্টা

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান প্রফেসরের সাক্ষাৎ

নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে চবিতে শিবিরের অবস্থান কর্মসূচি

পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন

বিজয় দিবসে ডাকসুর বর্ণাঢ্য সাইকেল র‍্যালি

জাতীয় দিবসগুলো আমাদের ঐক্যকে দৃঢ় করে: ঢাবি উপাচার্য

গাকৃবিতে বর্ণিল আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

বিজয় দিবসে ১০০ নৌকা নিয়ে জবি শিবিরের ব্যতিক্রমী নৌ র‍্যালি আয়োজন

চাকসু ভিপিকে মারতে তেড়ে আসলেন ছাত্রদল সভাপতি