জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর মিষ্টি বিতরণ ও স্বৈরাচার হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় ঘোষণা করলে বিকাল সাড়ে ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ’র (জাকসু) উদ্যোগে এই মিষ্টি উৎসব পালিত হয়। এরপর সেখানে শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করেন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
মিষ্টি উৎসবে জাকসুর কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন হল সংসদের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে দেখা যায়। এসময় শিক্ষার্থীদের ‘এই মুহূর্তে খবর এলো, শেখ হাসিনার রায় হলো’, ‘দড়ি লাগলে দড়ি নে, শেখ হাসিনার ফাঁসি দে’, ‘ও মোদি ও মোদি, হাসিনাকে কবে দিবি’ প্রভৃতি শ্লোগান দিতে দেখা যায়।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের মাধ্যমে জুলাইয়ে শহীদ ও আহত পরিবার এবং দেশের সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফল ঘটেছে। অতিদ্রুত যেনো শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করা হয় এই দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এসময় জাকসু’র সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মাজহারুল ইসলাম বলেন, “গত সতেরো বছর আওয়ামীলীগ সরকার জনগণের উপর যে জুলুমতন্ত্র কায়েম করেছিল, জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো।
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষ হত্যা ও গুম তাদের কাছে জায়েজ ছিল। তাদের হাজারো অপরাধের মধ্যে রয়েছে পিলখানা হত্যাকান্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকান্ড, আয়নাঘর, গুম, খুন এবং সর্বশেষ ২৪ এর জুলাই আন্দোলনে নির্বিচারে ছাত্র জনতার হত্যাকাণ্ড। এসবের বর্বরতার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”
তিনি আরো বলেন, আমরা আশা রাখছি অতিদ্রুত সময়ে এই রায় বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জাকসুর উদ্যোগে মিষ্টি উৎসব ও শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসির আয়োজন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলো এখান থেকে শিক্ষা গ্রহন করবে।