রাজধানীর পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তাকারীদের হাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক নারী শিক্ষার্থীসহ চার শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দুপুর থেকে ট্রাফিক পুলিশ বক্স ঘিরে বিক্ষোভ করছেন।
সোমবার দুপুরে দয়াগঞ্জ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
মাগুরাগামী সাদ সুপার পরিবহনের চালক কাকন মিয়া জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাগুরার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময় বাস সংকট ও বিলম্বে শিক্ষার্থীরা বিরক্ত ছিলেন। দয়াগঞ্জ সিগন্যালে থামলে কয়েকজন শিক্ষার্থী নেমে রাস্তা ফাঁকা করে বাসটি বের করে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সে সময় সেখানে দায়িত্বে থাকা তিনজন ট্রাফিক পুলিশ সহায়তাকারী শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে চাইলে তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন।
অল্পক্ষণ পরই সহায়তাকারীরা শিক্ষার্থীদের পুলিশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এতে চার শিক্ষার্থী আহত হন। বাস থামিয়ে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে পাশের ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে দয়াগঞ্জ মোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্স ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং অভিযুক্ত তিন ট্রাফিক সহায়তাকারীকে ঘিরে রাখেন।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন তালহা (সিএসই-২০), আল-আমিন (হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা-১৯), সোহেল (সমাজবিজ্ঞান-১৯), চৈতি আলম (১৫ ব্যাচের নারী শিক্ষার্থী)। আহতরা চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এ বিষয়ে ওয়ারী জোনের ডিসি হারুন উর রশিদ বলেন, “আমরা আশাকরি শিক্ষার্থীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। আমাদের সহযোগিতা করুন, আমরা যথাযথ আইন মেনে ব্যবস্থা নেব।”
জবি প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দয়াগন্জে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও মোতায়েন রয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত তিন ট্রাফিক সহায়তাকারীকে পুলিশের গাড়িতে করে গেন্ডারিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে পুলিশ।