হোম > ফিচার > এক্কাদোক্কা

রাফির সততা

হানিফ রাজা

এক গ্রামের এক ছোট ছেলে রাফি। রাফি খুব বুদ্ধিমান। একদিন সে মাঠে খেলতে গেল। তার এক প্রতিবেশী রহিম চাচা মাঠের পাশে মুরগির ডিম রেখে খেলা দেখছিলেন। এমন সময় রাফি হঠাৎ নিজের অজান্তেই প্রতিবেশী চাচার একটি ডিম ভেঙে ফেলল। ডিম ভেঙে রাফি খুব ভয় পেয়ে গেল, কারণ মুরগির ডিমগুলো যে প্রতিবেশী চাচার ছিল, যিনি খুব রাগি মানুষ।

‎রাফি ভাবল, যদি বলি আমি ডিমটি ভেঙেছি, তাহলে চাচা আমাকে শাস্তি দেবেন। আর যদি বলি, কীভাবে ডিম ভেঙেছে আমি তা জানি না, তাহলে হয়তো বকা থেকে বেঁচে যাব।

‎রাফি যা ভাবল তাই বলল, আমি জানি না, ডিমটি কীভাবে ভেঙেছে।

‎এ কথা বলে রাফি বকা খাওয়া থেকে রক্ষা পেলেও, রাফির মন কিছুতেই শান্ত হচ্ছিল না। মিথ্যা বলার জন্য তার খুব অনুশোচনা হচ্ছিল। মনের ওপর প্রচণ্ড চাপ হচ্ছিল এবং মনে হচ্ছিল যে সে মিথ্যা বলেছে, তা ঠিক হয়নি । বরং মনের শান্তি নষ্ট করেছে। রাফি বুঝতে পারছিল যে মিথ্যা বলার মাধ্যমে সে কিছুতেই রক্ষা পাবে না।

‎‎পরের দিন রাফি মুরগির মালিকের কাছে গিয়ে সত্য কথাটি বলল, আমি বেখেয়ালে ডিমটি ভেঙে ফেলেছি। এ জন্য আমি দুঃখিত। কথা দিচ্ছি, আমি আপনার জন্য নতুন একটি ডিম এনে দেব।

রাফি ডিম ভেঙেছে শুনে মুরগির মালিক প্রথমে রেগে গেল। কিন্তু তারপর সে রাফির কথায় খুশি হয়ে আর কিছু বলল না। সে বুঝতে পারল রাফি একজন সত্যবাদী ছেলে, তার মাঝে সততা কাজ করেছে।

‎মুরগির মালিক রাফিকে বলল, তুমি ছোট মানুষ, তুমি তো ইচ্ছে করে ডিম ভাঙোনি। আমি তোমার সততা ও সাহসকে সম্মান জানাই।

‎সেদিন থেকে রাফি বুঝতে পারল সততা এবং সত্য বলা একটি মহৎ গুণ। তার ভুল স্বীকার করার মাধ্যমে সে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হলো। সে আরো বুঝতে পারল যে সত্যবাদিতা আত্মবিশ্বাস ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে।

ঠান্ডা মজা

চোখ জুড়ানো পাখি কাকাতুয়া

চাঁদ সরে যাচ্ছে

ফিলিস্তিনের সবুজ পাখি

তীর ছোড়ে আর্চার ফিশ

বরিশাল জিলা স্কুল

মোরে ইল

ওয়ালরাস

বিশ্বাসের জাদু

প্রিয় আমার পাঠশালা