প্রাচীন ভারতের দাক্ষিণাত্যে মহিলারোপ্য নামের এক নগর। তার রাজা অমরশক্তি। অমরশক্তির ছিল তিন ছেলে—বসুশক্তি, উগ্রশক্তি ও অনেকশক্তি। তবে তিনজনই ছিল পড়াশোনায় অমনোযোগী এবং রাজ্যপরিচালনায় অনাগ্রহী। রাজা অমরশক্তি সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরসূরির ব্যাপারে চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তখন মন্ত্রী সুমতি রাজ্যের সর্বশাস্ত্রে পণ্ডিত বিষ্ণুশর্মাকে আমন্ত্রণ জানান। পণ্ডিত বিষ্ণুশর্মা রাজদরবারে উপস্থিত হয়ে রাজাকে আশ্বস্ত করেন যে, মাত্র ছয় মাসে তিনি রাজার ছেলেদের সব বিষয়ে, বিশেষত রাজনীতিতে পাণ্ডিত্যের অধিকারী করে গড়ে তুলতে পারবেন। তখন বিষ্ণুশর্মা বিভিন্ন শাস্ত্রের সারনির্যাস একত্র করে পশুপাখির জবান ও চরিত্রে একটি বই লেখেন, যা পঞ্চতন্ত্র নামে প্রসিদ্ধি পায়। ড. দুলাল ভৌমিকের ভাষ্যে এই তথ্য জানা যায়। তিনি পঞ্চতন্ত্র বইটি মূল সংস্কৃত থেকে সদ্য বাংলায় অনুবাদ করেছেন।
পঞ্চতন্ত্র বিশ্বসাহিত্যের এমন এক বই, যার জন্ম এক সভ্যতায়, বিকাশ আরেক সভ্যতায় এবং প্রতিষ্ঠা আরেক সভ্যতায়। পঞ্চতন্ত্র-এর উৎস ভারতেÑসংস্কৃত ভাষায়, বিকাশ পারস্যেÑফার্সি ভাষায় আর প্রতিষ্ঠা আরবেÑআরবি ভাষায়।
মূল বইটি দ্বিতীয় খ্রিষ্টাব্দে দক্ষিণ ভারতে সংস্কৃত ভাষায় রচিত হয়। তারপর ষষ্ঠ শতাব্দীতে ইরানে পাহলভি (ইসলামপূর্ব ফারসি) ভাষায় অনূদিত হয়। অষ্টম শতাব্দীতে বাগদাদে আরবি ভাষায় অনূদিত হয়। মূল বইয়ের নাম ‘পঞ্চতন্ত্র’ হলেও পাহলভি অনুবাদের নাম ‘করতক ওয়া দমনক’, আরবি অনুবাদের নাম ‘কালিলা ওয়া দিমনা’। পাহলভি ভাষায় অনুবাদ করেন বোরজাভি এবং আরবি ভাষায় অনুবাদ করেন আবদুল্লাহ ইবনে মুকাফফা।
সংস্কৃত ভাষার মূল বই এবং প্রাচীন পাহলভি অনুবাদ বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য, টিকে আছে কেবল আরবি অনুবাদ। এক হাজার দুইশ বছর আগে অনূদিত আরবি থেকেই বইটি বর্তমান দুনিয়ার জীবন্ত প্রায় সব ভাষায় অনুবাদ হয় এবং দুনিয়াজুড়ে বিপুল সাড়া জাগায়।
তবে দুইশ বছর আগে কয়েকজন ব্রিটিশ গবেষক কাশ্মীর থেকে ‘তন্ত্রাখ্যায়িকা’ নামে একটি কপি এবং নেপাল থেকে আরেকটি কপি উদ্ধার করেছেন, যাকে সংস্কৃত ভাষার মূল পঞ্চতন্ত্রের প্রতিনিধিত্বকারী বিবেচনা করা হয়; যদিও এসব কপি নিয়ে গবেষকদের মধ্যে বিতর্ক আছে। পাহলভি ভাষার অনুবাদেও কয়েকটি পাতা ব্যতীত আর কিছু পাওয়া যায় না।
বর্তমানে ফারসি ভাষায় প্রচলিত বইটিও আরবি ‘কালিলা ওয়া দিমনা’ বইয়ের অনুবাদ, যা ইরানের হোসাইন কাশেফি (১৪৩৬-১৫০৪ খ্রিষ্টাব্দ) অনুবাদ করেছেন ‘আনওয়ারে সোহেলি’ (নক্ষত্রের আলো) নামে। এভাবে অনুবাদ থেকে অনুবাদ হয়ে বইটির মূল কাঠামো অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, বর্তমানে বিদ্যমান সংস্কৃত থেকে কৃত অনুবাদ এবং আরবি অনুবাদের মূলভাষ্যে অনেক বৈপরীত্য দেখা যায়। ১৯৬০ সালে বাংলা একাডেমি থেকে আনওয়ারে সোহেলি বইটির বাংলায় অনুবাদ হয়েছিল। কিন্তু একাডেমিতে বইটি আর পাওয়া যায় না।
গাছগাছালি-ঘেরা একটি বনভূমিতে বসবাস করে একদল পশুপাখি। হরিণ, কচ্ছপ, কবুতর, কাক, ইঁদুর, শেয়াল—এদের যাপিত জীবনের গল্পকথাই বইটির উপজীব্য। পণ্ডিত বিষ্ণুশর্মা রাজার তিন ছেলেকে শেখানোর জন্য পশুপাখিদের ভাষায় তাদের জীবনের সুখ-দুঃখ, প্রেম-বিরহ এবং জীবনসংগ্রামের গল্প বলেন। ছোট ছোট প্রাণী আবেগময় ভাষায় পণ্ডিতের মতো কথা বলে, গল্পে গল্পে তুলে আনে জীবনের গভীর দর্শন।
মূল বইটিকে লেখক পাঁচটি তন্ত্র তথা মূলনীতি বা পর্বে বিন্যাস করেন। তাই এর নাম পঞ্চতন্ত্র। পাঁচটি তন্ত্র হচ্ছে—মিত্রভেদ (বন্ধুত্ব ছিন্ন), মিত্রপ্রাপ্তি (বন্ধুত্ব অর্জন), কাকোলূকীয়ম (চিরশত্রুতা), লব্ধপ্রণাশ (অর্জনের পর হারানো) এবং অপরীক্ষিতকারক (পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই কাজ করা)।
প্রতিটি তন্ত্রে আছে একাধিক ছোটগল্প। মিত্রভেদ তন্ত্রে ২২টি, মিত্রপ্রাপ্তি তন্ত্রে সাতটি, কাকোলূকীয়ম তন্ত্রে ১৪টি, লব্ধপ্রণাশ তন্ত্রে ১৮টি এবং অপরীক্ষিতকারক তন্ত্রে ১৫টি গল্প। মোটমাট ৭৬টি গল্প।
মিত্রভেদ তন্ত্রের মূল গল্পের চরিত্র—দমনক (শেয়াল), সঞ্জীবক (ষাঁড়) এবং পিঙ্গলক (সিংহ)। এ গল্পের সারকথা হচ্ছে, শেয়ালটি প্রথমে ষাঁড় ও সিংহের মধ্যে মিত্রতা সৃষ্টি করে। তারপর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দুজনের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করে এবং সিংহকে দিয়ে ষাড়টি হত্যা করে তার মাংস খায়।
মিত্রলাভ তন্ত্রের মূল গল্পের চরিত্র হচ্ছে—চিত্রগ্রীব (কবুতর), লঘুপতনক (কাক), হিরণ্যক (ইঁদুর), মন্থরক (কচ্ছপ) এবং চিত্রাঙ্গ (হরিণ)। এ গল্পের সারকথা হচ্ছে, একটি বনের ভেতর তারা যার যার মতো বসবাস করছিল। বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে তাদের মধ্যে মিত্রতা ও বন্ধুতা সৃষ্টি হয়। প্রথমে একদিন শিকারির জালে আটকা পড়ে একদল কবুতর, তবে কবুতর বিশেষ কৌশলে জালসহ উড়ে যায়। কবুতরের বুদ্ধি দেখে কাক তার বন্ধু হয়। এভাবে বাকিদের সঙ্গেও মিত্রপ্রাপ্তি তথা বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। একদিন শিকারের জালে আটকা পড়ে হরিণ। তখন ইঁদুর জাল কেটে তাকে উদ্ধার করে। আরেকদিন শিকারির জালে আটকা পড়ে কচ্ছপ। তখন কাকের বুদ্ধিতে সে মুক্তি পায়। এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে তাদের বন্ধুত্ব আরো অনেক দৃঢ় হয়।
এই গল্পটিই আমরা আরবি ভাষায় পড়েছিলাম ‘মুখতারাত’ বইয়ে। আরবি অনুবাদে চরিত্রগুলোর ধারাক্রম হচ্ছে—কাক, হরিণ, ইঁদুর ও কচ্ছপ। আরবিতে চরিত্রগুলোর অনুবাদ যথাক্রমে কাক বা লঘুপতনক ‘গুরাব’, হরিণ বা চিত্রাঙ্গ ‘জবউন’, ইঁদুর বা হিরণ্যক ‘জুরাজ’ এবং কচ্ছপ বা মন্থরক ‘সুলাহফাত’।
সংস্কৃত ভাষার ‘পঞ্চতন্ত্র’ এবং আরবি ‘কালিলা ওয়া দিমনা’ বইয়ের মধ্যকার আরেকটি পার্থক্য হচ্ছে গল্পের সংখ্যা। সংস্কৃত ভাষার অনুবাদক ড. দুলাল ভৌমিক দেখিয়েছেন মোট পাঁচটি তন্ত্র এবং পাঁচটি তন্ত্রের অধীনে ৭৬টি গল্প। আর আরবি ‘কালিলা ওয়া দিমনা’ অনুবাদের সম্পাদক মুহাম্মদ হাসান মারসাফী আল-মিসরি বলছেন, সংস্কৃত ভাষার মূল কিতাবে ছিল মোট ১২টি অধ্যায়—সিংহ ও ষাঁড় (আল-আসাদ ওয়াস সাওর), ফাঁদে পড়া কবুতর (আল হামামাতুল মুতাওয়াকা), পেঁচা ও কাক (আল-বুম ওয়াল গুরবান), বানর ও কচ্ছপ (আল-কিরদ ওয়াল গায়লাম), সাধক ও বেজি (আন-নাসিক ওয়া ইবনে ইরস), ইঁদুর ও বিড়াল (আল-জুরাজ ওয়াস সিনওয়ার), রাজা ও ময়না (আল-মালিক ওয়া কুজ্জাহ), সিংহ, বেজি ও সন্ন্যাসী (আল আসাদ ওয়া ইবনে আওয়ি ওয়ান নাসিক), সিংহী, বাঘ ও শিকারি (আল-লাবওয়াতু ওয়াল আসওয়ারু ওয়াশ শাহার), রাজা, রানি ও মন্ত্রী (ইলাজ ওয়া এয়ালাজ ওয়া ইবরাখাত), বৈরাগী ও স্বর্ণকার (আস-সিইহু ওয়াস সানিউ) এবং রাজপুত্র ও তার বন্ধুবান্ধব (ইবনুল মালিক ওয়া আসহাবুহ)। তারপর পারস্যের বাদশাহ নওশেরওয়ার আমলে সংস্কৃত থেকে পাহলভি (ইসলামপূর্ব ফারসি) ভাষায় অনুবাদের সময় অনুবাদক বোরজাভি আরো তিনটি অধ্যায় যুক্ত করেন। তারপর হিজরি দ্বিতীয় শতাব্দীতে আব্বাসি খলিফা আল-মাহদির আমলে আবদুল্লাহ ইবনে মুকাফফা আরবি অনুবাদে আরো ছয়টি অধ্যায় যুক্ত করেন। সব মিলিয়ে মোট একুশটি অধ্যায় হয়।
গবেষকরা আরো বলেছেন, সংস্কৃত থেকে পাহলভি ভাষায় অনুবাদের সময় অনুবাদক বোরজাভি ১২টি অধ্যায়ের মধ্যে প্রথম পাঁচটি নিয়েছেন ‘পঞ্চতন্ত্র’ থেকে, তারপরের তিনটি নিয়েছেন ‘মহাভারত’ থেকে, তারপরের চারটি নিয়েছেন ‘হিতোপদেশ’ থেকে।
সংস্কৃত ও আরবি বইয়ের আরেকটি পার্থক্য হচ্ছে বইটি রচনার ‘উদ্দেশ্য’। সংস্কৃত অনুবাদক পঞ্চতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্য হিসেবে বলছেন, রাজপুত্রদের যোগ্যরূপে গড়ে তোলা। আর আরবি অনুবাদক বলছেনÑগ্রিক দিগ্বিজয়ী আলেক্সান্ডারের ভারত অভিযানের পর ক্ষমতায় বসেন রাজা দেবশর্মা। তিনি ক্ষমতায় বসে স্বেচ্ছাচার শুরু করেন। তাকে সংশোধনের উদ্দেশ্যে পণ্ডিত ‘বাইদাবা’ এই গ্রন্থ রচনা করেন।
সবচেয়ে বড় ভজঘট দেখা দিয়েছে লেখকের নামে। আরবি অনুবাদে লেখকের নাম বলা হয়েছে ‘বাইদাবা’। অপরদিকে সংস্কৃত অনুবাদে মূল লেখকের নাম দেখা যায় ‘বিষ্ণুশর্মা’। শব্দ দুটোর মধ্যে অন্তত দূরতম একটা সাদৃশ্য হলেও থাকা দরকার ছিল। কিন্তু ‘বাইদাবা’ এবং ‘বিষ্ণুশর্মা’ শব্দ দুটোর মধ্যে তা একেবারেই অনুপস্থিত।
আমি অনেক খুঁজে এর জবাব পেয়েছি বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তিতুল্য লেখক, পণ্ডিত ও বহুভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখায়। তিনি তার পঞ্চতন্ত্র বইয়ে বলেছেন, ‘সংস্কৃত ভাষার পঞ্চতন্ত্র বইটি প্রথমে পাহলভি ভাষায় অনুবাদ করা হয়, তারপর সিরিয়াক (সুরিয়ানি) ভাষায় অনুবাদ করা হয়, তারপর আরবি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। তবে কয়েক ভাষার হাত বদল হয়ে আরবি ভাষায় পৌঁছতে গিয়ে ‘বিষ্ণুশর্মা’ নামটি এমনই পরিবর্তন হয়ে যায় যে, আরবরা ভাবেন, তিনি ভারতবর্ষের বিখ্যাত পণ্ডিত ‘বিদ্যাপতি’। সে হিসেবে আরবিতে তার নাম লেখা হয় ‘বিদবা’। আরবি ভাষায় ‘প’ অক্ষর নেই। তাই কাছাকাছি ‘ব’ অক্ষর দিয়ে ‘প’ বোঝানো হয়।’ যারা আরবি ‘কালিলা ওয়া দিমনা’ পড়েছেন, সম্ভবত তাদের সবার মনেই এ প্রশ্নটি উদিত হয়েছে; আর সৈয়দ মুজতবা আলী সে প্রশ্নেরই জট খুলে দিয়েছেন—আরবি বানানে ও উচ্চারণে শব্দটা ‘বাইদাবা’ হবে না, ‘বিদবা’ হবে।
সৈয়দ মুজতবা আলী পড়াশোনা করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অধীনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯২১-১৯২৬ খ্রি.) এবং মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯৩৪-১৯৩৫ খ্রি.) তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে। মিসর থেকে ফিরে তিনি কলকাতায় মাওলানা আবুল কালাম আজাদের অধীনে একটি ত্রৈমাসিক আরবি পত্রিকা সম্পাদনায় যুক্ত হন, যার নাম ‘সাকাফাতুল হিন্দ’। এ পত্রিকায় তিনি মূল সংস্কৃত ভাষা থেকে পঞ্চতন্ত্র বইটি আরবিতে অনুবাদ শুরু করেন। কিন্তু পত্রিকাটি কয়েক মাস পর বন্ধ হয়ে যায়। সৈয়দ মুজতবা আলীও বলেছেন, সংস্কৃত ভাষার ‘পঞ্চতন্ত্র’ এবং আরবি ‘কালিলা ওয়া দিমনা’ অনুবাদে রয়েছে প্রচুর তফাত।
পঞ্চতন্ত্রের আরবি অনুবাদক ‘বাইদাবা’ শব্দটি দ্বারা যে বিদ্যাপতিকেই বুঝিয়েছেন, সেটা বোঝা যায় সাইয়েদ সুলাইমান নদবীর লেখা থেকেও। ‘আরব ওয়া হিন্দ কে তায়াল্লুকাত’ বইয়ে তিনি উর্দু বানানে লিখেছেন ‘বিদপা’। উর্দুতে দুটো বর্ণ আছে—‘বে’ ও ‘পে’; তিনি সচেতনভাবেই ‘পে’ লিখেছেন, যা নির্দেশ করে শব্দটি হবে ‘বিদ্যাপতি’। তবে এই বিদ্যাপতি যে ভারতবর্ষের বিখ্যাত ‘কবি বিদ্যাপতি’ নন, তা তো ঐতিহাসিকভাবেই প্রমাণিত। কারণ পণ্ডিত বিষ্ণুশর্মা ছিলেন দক্ষিণ ভারতের মানুষ, আর কবি বিদ্যাপতি উত্তর ভারতের। পণ্ডিত বিষ্ণুশর্মা চতুর্থ শতাব্দীর, আর কবি বিদ্যাপতি চতুর্দশ শতাব্দীর। হ্যাঁ, ‘বিদ্যাপতি’ শব্দটি উপাধি বা বিশেষণ হিসেবেও ব্যবহার হতে পারে। কিন্তু আরবি অনুবাদে নামের বিন্যাস দেখে মনে হয়, বিদ্যাপতি শব্দটিকে বিশেষণ নয়, বরং বিশেষ্য বা নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
আরবিতে বিন্যস্ত শব্দক্রম ‘বিদবা আল-ফাইলাসুফ’ বা ‘দার্শনিক বিদ্যাপতি’ থেকে এটাই বোঝা যায়। উর্দুতেও সাইয়েদ সুলাইমান নদবী সেভাবেই অনুবাদ করেছেন ‘বিদপা পণ্ডিত’। কিন্তু ইনি কোন বিদ্যাপতি, তা নতুন করে আবিষ্কারের বিষয়।