হোম > জাতীয়

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলায় ডিআরইউ’র নিন্দা

স্টাফ রিপোর্টার

সন্ত্রাসীদের গুলিতে জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির প্রাণ হারানোর ঘটনায় কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্থার শিকার হয়েছেন ডিআরইউ'র স্থায়ী সদস্য ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউএজ সম্পাদক, প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডিআরইউ। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে ডিআরইউ।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ডিআরইউ'র সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, সংবাদ মাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এসময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকা পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিকভাবে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে গণমাধ্যমকে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে ওসমান হাদী একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদীসহ ছাত্র জনতার ত্যাগের কারণেই তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের উপরে হামলা করেছে তারা হাদির অনুসারী না এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এইসব ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

হাদির মৃত্যুতে জাতীয় নেতৃবৃন্দের শোক

যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন হাদি

হাদির হত্যা দেশ ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত

ঢাকাসহ সারা দেশে গ্রেপ্তার ৫১

হাদির মৃত্যু: কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের

হাদিকে নিয়ে আলজাজিরার প্রতিবেদনে যা বলা হলো

ঢাকায় উদীচীর কার্যালয়ে আগুন

শহীদ ওসমান হাদি হত্যায় সিটিজেন ইনিশিয়েটিভের উদ্বেগ ও প্রতিবাদ

দুই পত্রিকা অফিসে হামলার ঘটনায় বিএফইউজে ও ডিইউজের নিন্দা

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে হাদির লাশ