স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের পতন হলেও গণতন্ত্র এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সুশীল ফোরামের সভাপতি মোঃ জাহিদ। তিনি বলেন, গুম-খুন ও হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে- এটাই এদেশের জনগণের প্রত্যাশা।
শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সুশীল ফোরামের নিজস্ব কার্যালয়ে ‘স্বৈরাচার এরশাদের পতন দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোঃ জাহিদ বলেন, ১৯৯০ সালের এই দিনে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনতার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পড়ে পতন হয় স্বৈরাচার হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের। সেদিন গণতন্ত্র মুক্তি পায়। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রক্তপাতহীন এক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের পর এরশাদ সরকার দেশের রাজনীতি ও সংস্কৃতি সর্বক্ষেত্রে গণবিরোধী ধারা প্রবর্তন করেন। রাজনৈতিক নেতাদের ওপর নেমে আসে ব্যাপক নিপীড়ন-নির্যাতন। ৬ ডিসেম্বর জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৯০ সালের এই দিনে ৯ বছরের অগ্নিঝরা আন্দোলনের পর পতন ঘটেছিল সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের।
তিনি বলেন, এরশাদের পতনের আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে ও অনুপ্রাণিত হয়ে চব্বিশের আগস্টে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। বর্তমান ছাত্র সমাজ শহীদ নূর হোসেন, ডা. মিলন, জাফর, জয়নাল ও কাঞ্চনের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে। শহীদ হয় আবু সাইদসহ প্রায় এক হাজার ৬০০ বাংলাদেশি নাগরিক। বাধ্য হয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাসহ তার দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। এতে দেশের জনগণের মাঝে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।
সুশীল ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ফোরামের সেক্রেটারি ডা. মোবারক হোসেন, ফজলুল করিম শামীম, ছানোয়ার হোসেন সায়ের, আব্দুল মান্নান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।