হোম > মতামত

একজন সেলজুক বায়রাকতার ও আমাদের মেধাবী তরুণরা

মেহেদী হাসান

বিশ্বব্যাপী আলোচিত বায়রাকতার ড্রোনের উদ্ভাবক ও নির্মাতা সেলজুক বায়রাকতার তুরস্কে রূপকথার একজন জীবন্ত রাজপুত্র। সেলজুক বায়রাকতারের উত্থান ও তুরস্কের রাজপ্রাসাদে তার স্থান করে নেওয়ার ঘটনার কাছে ম্লান রূপকথার অনেক কাহিনি। তুরস্কের অন্য ১০টি সাধারণ পরিবারের একজন সাধারণ তরুণের মতোই ছিলেন সেলজুক বায়রাকতার। কিন্তু তার প্রখর মেধা আর এভিয়েশন জগতে ব্যতিক্রমী উদ্ভাবনী শক্তি তাকে টেনে এনেছে তুরস্কের রাজপ্রাসাদে। তিনি হতে পেরেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জামাতা। এরদোয়ানের পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবেও তাকে বিবেচনা করছেন অনেকে। সেলজুক বায়রাকতার প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জামাতা হলেও তিনি আদৌ এ পরিচয়ে তুরস্কে বা বিশ্বে পরিচিত নন। রাজপ্রাসাদের সদস্য হওয়ার আগেই তিনি বায়রাকতার ড্রোন নির্মাণের মাধ্যমে তুরস্কের জাতীয় বীরের মর্যাদা লাভ করেন। সেলজুক বায়রাকতার তুরস্কে পরিচিত তুরস্ক আর্মি, তুরস্ক সমরাস্ত্র শিল্প ও সমরাস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে রাতারাতি দেশটিকে বিশ্বে অনন্য স্থানে পৌঁছে দেওয়ার এক নায়ক হিসেবে। তিনি পরিচিত তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তার একজন পথিকৃৎ হিসেবে। এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি তুরস্কের লাখ লাখ তরুণ প্রজন্মের একজন আইকন বা প্রেরণার উৎস।

৪৬ বছর বয়সি সেলজুক বায়রাকতার পেশায় একজন পাইলট ও বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী। তুরস্কের বায়রাকতার ড্রোন বিমান নির্মাণ করে বায়কার নামক একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে বায়কার তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় একটি সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। বায়কার প্রতিষ্ঠানের মূল মালিক, চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা হলেন সেলজুক বায়রাকতার। মাত্র ১৮ বছরে সেলজুক বায়রাকতার এবং তার প্রতিষ্ঠান-নির্মিত ড্রোন বিমানের কারণে সমরাস্ত্রের দিক দিয়ে তুরস্ক আজ বিশ্বে শক্তিশালী একটি দেশে পরিণত হয়েছে।

বিশ্ব সমরাঙ্গন ও এভিয়েশন ইতিহাসে ঝড় তোলা ড্রোন বিমান বায়রাকতার সিরিজের পর এবার ‘বায়রাকতার কিজিলেলমা’ নামক মানুষবিহীন ফাইটার জেট নির্মাণ করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সেলজুক বায়রাকতার। গত নভেম্বর মাসে কিজিলেলমা এফ-১৬ ফাইটার জেট লক্ষ করে নিখুঁতভাবে ছুড়েছে এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল। অটোনোমাস এ ফাইটার জেট এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্বের প্রচলিত আর অতিশয় ব্যয়বহুল সব যুদ্ধবিমানের জন্য। সেলজুক বায়রাকতার নির্মিত অপর সাড়াজাগানো ড্রোন বিমান হলো আকিনসি। বায়রাকতার, আকিনসি, কিজিলেলমাসহ সব ড্রোন বিমানের উদ্ভাবক ও ডিজাইনার সেলজুক বায়রাকতার। এবার তিনি কাজ শুরু করেছেন ছোট মডুলার পারমাণবিক চুল্লির প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা ও স্যাটেলাইট নির্মাণ বিষয়ে।

তুরস্ক আর্মি আজ বিশ্বের নবম শক্তিশালী আর্মি। আর সামরিক ক্ষেত্রে রাতারাতি তুরস্কের বিস্ময়কর অগ্রগতির মূলে রয়েছে সমরাস্ত্র ক্ষেত্রে দেশটির নিত্যনতুন উদ্ভাবন। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্ক ছিল বিশ্বের সপ্তম সমরাস্ত্র আমদানিকারক দেশ আর ২০২৪ সালে তুরস্ক পরিণত হয়েছে বিশ্বের ১১তম সমরাস্ত্র রপ্তানিকারক দেশে। সমরাস্ত্র রপ্তানিতে তুরস্কের রাতারাতি উত্থানের মূলে রয়েছে বিশ্বব্যাপী বায়রাকতার ড্রোন রপ্তানি। বর্তমানে ৩৬টি দেশে বায়রাকতার এবং ১৬টি দেশে আকিনসি ড্রোন বিমান রপ্তানি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০২৪ সালে তুরস্ক সাত বিলিয়ন ডলার মূল্যের সমরাস্ত্র রপ্তানি করে। এর মধ্যে দুই বিলিয়ন ডলার অবদান রাখে সেলজুক বায়রাকতারের প্রতিষ্ঠান বায়কার। একজন সেলজুক বায়রাকতারের হাত ধরে তুরস্ক আজ যেমন গুরুত্বপূর্ণ সমরাস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ, তেমনি সামরিক শক্তিতেও বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী একটি দেশে পরিণত হয়েছে।

সেলজুক বায়রাকতার ২০০২ সালে ইস্তানবুল টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর বৃত্তি নিয়ে তিনি ভর্তি হন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে। এরপর তিনি ভর্তি হন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা এমআইটিতে। যুক্তরাষ্ট্রের এই দুই প্রতিষ্ঠানে থাকা অবস্থায় সেলজুক বায়রাকতার ড্রোন ফরমেশন ফ্লাইট ও রোবটের মধ্যে সমন্বয় এবং ড্রোন বিমানের অটোমেটিক ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমের ওপর মৌলিক অনেক কিছু উদ্ভাবন করেন, যা স্থান পায় আন্তর্জাতিক নামকরা অনেক জার্নালে। ২০০৬ সালে এমআইটি থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি অধ্যয়ন শুরু করেন।

এদিকে ১৯৯৫ সাল থেকে তুরস্ক চেষ্টা করে যাচ্ছিল সামরিক ড্রোন নির্মাণের জন্য। এ বিষয়ে তুরস্কের নামকরা টার্কিশ অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজকে দায়িত্ব দিয়েও সফল হতে পারেনি।

২০০৫ সালে সেলজুক বায়রাকতারের বয়স যখন ২৬ বছর, তখন তিনি তার নিজস্ব তৈরি একটি ড্রোন প্রদর্শন করেন তুরস্কের সরকারি কর্মকর্তাদের সামনে। তিনি তাদের বোঝাতে চেষ্টা করেন, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তার মতো অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং, লকহিড মার্টিনের মতো অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম এবং পাঁচ বছরের মধ্যে ড্রোন অস্ত্রে তিনি তুরস্ককে বিশ্বের শীর্ষস্থানে নিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু তখনো ঘুণেধরা ও পশ্চাৎপদ আমলাতন্ত্র তার এসব কথা আস্থায় নিতে পারেনি।

তবে পরের বছরের একটি ঘটনা যুগান্তকারী হিসেবে আবির্ভূত হয় সেলজুক বায়রাকতার ও তুরস্ক আর্মি উভয়ের জন্য। তুরস্ক আর্মি আয়োজিত একটি ড্রোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন সেলজুক বায়রাকতার। তুরস্ক আর্মির প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা তার ড্রোনের কার্যকারিতা দেখে অবাক হন এবং তাকে কিছু মিনি ড্রোন নির্মাণের অর্ডার দেন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। ২০০৭ সালে পিএইচডি পড়াশোনা সংক্ষিপ্ত করে দেশে এসে বাবার প্রতিষ্ঠিত বায়কারের হাল ধরেন।

এরই মধ্যে ২০১০ সালে ঘটে আরেক ঘটনা। ওই বছর গাজা ফ্রিডম ফ্লোটিলায় ইসরাইলের আক্রমণে নিহত হন বেশ কয়েকজন তুর্কি নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কে ড্রোন রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান নির্দেশ দেন নিজস্ব ড্রোন উদ্ভাবন ও গবেষণার জন্য। ২০১৫ সালে সেলজুক বায়রাকতার তুরস্ক আর্মির সামনে হাজির করেন তাদের প্রতিষ্ঠান বায়কার নির্মিত বায়রাকতার টিবি২ নামক একটি সশস্ত্র ড্রোন। ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থান করে লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে মিসাইল ছোড়ে ড্রোন বিমানটি। এ ঘটনা তোলপাড় সৃষ্টি করে গোটা তুরস্কে। গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহল থেকে সেলজুক বায়রাকতারকে অভিহিত করা হতে থাকে জাতীয় বীর হিসেবে। পরের বছর ২০১৬ সালে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তার মেয়ে সুমেয়াকে সেলজুক বায়রাকতারের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তাকে তুরস্ক প্রাসাদের সদস্য করে নেন।

এর পরের সব ঘটনাই এখন তুরস্কের ইতিহাস, যা লেখা থাকবে দেশটির সামরিক ইতিহাসে সোনার অক্ষরে। লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ, সিরিয়ায় ইদলিবে কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান, তুরস্কের অভ্যন্তরে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন এবং ২০২০ সালে নাগার্নো-কারাবাখে আর্মেনিয়া আর্মিকে বিধ্বস্ত করে আজারবাইজানের বিজয় থেকে শুরু করে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বায়রাকতার ড্রোন বিমানের বিস্ময়কর সাফল্য কেবল তুরস্ক আর্মি নয়, বরং দেশ হিসেবে তুরস্ককে পৌঁছে দিয়েছে অনন্য উচ্চতায়।

বাংলাদেশেও ছিল এবং এখনো আছে সেলজুক বায়রাকতারের মতো বা তার চেয়েও প্রতিভাধর অনেক তরুণ-তরুণী। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের ও বিশ্বের শীর্ষ সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার ও সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল, মাইক্রোসফটসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠানে। অপরদিকে রাষ্ট্রের উদ্যোগের অভাবে অনেকেই তাদের মেধা প্রয়োগের কোনো সুযোগ পাচ্ছে না দেশে।

অথচ দেশে যদি মেধা বিকাশ, চর্চা, গবেষণা ও প্রয়োগের উপযুক্ত ক্ষেত্র থাকত, তাহলে তারাও এত দিনে তৈরি করতে সক্ষম হতো শক্তিশালী ড্রোন বিমান, মিসাইল, যুদ্ধ বিমান, আধুনিক রণতরী, ইঞ্জিন, রাডার, স্যাটেলাইট, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ স্টেশন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে শুরু করে কম্পিউটার, স্মার্টফোনসহ আধুনিক গুরুত্বপূর্ণ সব ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, সিস্টেম ও সমরাস্ত্র।

গত মার্চ মাসে মানিকগঞ্জে জুলহাস মোল্লা নামে এসএসসি পাস একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বিমান তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গোটা দেশবাসীকে। জুলহাস তার নিজের বানানো বিমানে নিজেই দীর্ঘ সময় অনেক উচ্চতায় আকাশে উড়ে বাংলাদেশের এভিয়েশন ইতিহাসে নজির স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশে এরকম হাজারো জুলহাস মোল্লা আছেন, কিন্তু রাষ্ট্র কখনো তাদের পাশে সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছে, এমন নজির বিরল; বরং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী মহল সবসময় চেষ্টা করেছে এ ধরনের সম্ভাবনা যেন আলোর মুখ দেখতে না পারে।

বাংলাদেশের অসীম রহমান নামে একজন তরুণ প্রকৌশলী বর্তমানে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিনের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরির সঙ্গে। কিন্তু এ দেশের তরুণসমাজ এ ধরনের প্রতিভাবানদের চেনে না, এ দেশের তথাকথিত গণমাধ্যম ও সরকারও তাদের তুলে ধরে না তরুণদের জন্য। বরং বাংলাদেশের তরুণরা যাতে এ ধরনের প্রতিভাবান তরুণদের দেখে প্রেরণা লাভ করতে না পারে, সেই আয়োজনই চলছে দীর্ঘকাল ধরে। ফলে দেশের প্রকৃত বীর, প্রকৃত আইডল আর মেধাবীরা সবসময় থেকে গেছে আড়ালে। যুগের পর যুগ ধরে দেশের তরুণসমাজের সামনে আইডল হিসেবে দাপিয়ে বেড়িয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে তারা, যারা আসলে অন্ধকার আর ধ্বংসের দিকে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছে।

অতীতে যারা দেশ পরিচালনা করেছে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য ছিল দেশের পরিবর্তে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করা। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাসহ তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের আয়োজন করা হয়েছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে। বাংলাদেশ যাতে কোনো ধরনের আধুনিক ও শক্তিশালী সমরাস্ত্র নির্মাণ করতে না পারে, ভারতের সে ইচ্ছাই একান্তভাবে পালন করেছে হাসিনা সরকার। বিদেশ থেকেও বাংলাদেশকে কোনো শক্তিশালী সমরাস্ত্র সংগ্রহ করতে দেয়নি ভারত। গত দেড় দশকে ভারতের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আর্মিকে কীভাবে একটি দেউলিয়া বাহিনীতে পরিণত করা যায়, সেটা বাস্তবায়ন করেছে শেখ হাসিনা। কেবল সমরাস্ত্র শিল্প খাতকেই ধ্বংস ও অকার্যকর করে রাখা হয়নি, ভারতের স্বার্থে দেশের অন্যান্য শিল্পকারখানাও ধ্বংস করা হয়েছে। হাসিনা সরকার বন্ধ করে দিয়েছে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সব পাটকল, তথা ২৫টি পাটকল; বন্ধ করেছে চিনিকল। আর ভারতের অবাধ পণ্য প্রবেশের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের কত শিল্পকারখানা, তার কোনো হিসাব নেই।

সম্প্রতি দেশে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তারেক রহমানকে হত্যা করতে চায়। বর্তমান সরকার তুরস্কের সঙ্গে যৌথভাবে সমরাস্ত্র নির্মাণের বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক খারাপ করা এবং তুরস্কে তারুণ্যের জাগরণের ছোঁয়া যাতে বাংলাদেশে না লাগে, সেটাই হলো এ ধরনের গুজব ছড়ানোর মূল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ যতই চেষ্টা করছে সামনের দিকে এগোতে, ততই দেশবিরোধী শক্তি পেছন থেকে টেনে ধরছে সর্বশক্তি দিয়ে। ফলে হাজারো জুলহাস মোল্লারা যতই আকাশের বিজলির মতো ঝলসে উঠুক না কেন, তা আবার নিমিষেই হারিয়ে যায়। টমাস আলভার মতো আকাশের সেই বিদ্যুৎকে ঘরে ব্যবহারের বিদ্যুতে রূপান্তর করা হয়ে ওঠে না আমাদের।

লেখক : সহকারী সম্পাদক, আমার দেশ

নয়া জমানার মুয়াজ্জিন ওসমান হাদি

আরেক জিয়া দেখতে চায় মানুষ

বাংলাদেশের গোয়েন্দা ব্যবস্থা : কাঠামোগত সংকট ও করণীয়

ওসমান হাদি : সংস্কৃতি, ক্ষমতা এবং গণতন্ত্রের সংগ্রাম

অধীনতাবিরোধী নতুন শক্তির উত্থান : লড়াই ও বিভাজন

বাংলাদেশের গণতন্ত্র : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

নির্বাচনি ইশতেহারে শিক্ষা কতটা গুরুত্ব পাবে?

চট্টগ্রাম বন্দর : লাভ না ক্ষতি

খৃস্টের সম্মান

মাতুয়া অভিবাসন : হিন্দু জনসংখ্যা হ্রাসের মিথ্যা বয়ান