হোম > মতামত

রায় লেখা ছিল দেয়ালে দেয়ালে

আলফাজ আনাম

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্ধকার অধ্যায় হয়ে আছে শেখ হাসিনার দেড় দশকের নিপীড়নমূলক শাসনের সময়। পতনের আগে তিনি দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। গণবিক্ষোভের মুখে হাসিনার পতন ও পলায়ন ছিল অনেকটা প্রকৃতির বিচারের মতো। তার পলায়নের পর থেমে থাকা বা সন্তুষ্ট থাকার সুযোগ ছিল না। নিষ্ঠুর এই স্বৈরশাসকের বিচার শুধু ন্যায়বিচারের প্রশ্ন নয়, এর সঙ্গে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র কতটা দায়বদ্ধতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে চায়, সে প্রশ্নও জড়িত। ফলে শেখ হাসিনার বিচার রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সম্পর্কিত। নিপীড়িত মানুষের আর্তনাদে সমাজ কতটা সাড়া দিল, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে এই রায়ের মধ্য দিয়ে।

যখন স্বৈরশাসকের বিচার নিশ্চিত করা যায়, তখন ভবিষ্যতের ক্ষমতাধরদের কাছে স্পষ্টভাবে একটি বার্তা দেওয়া হয়—ক্ষমতা সীমাহীন নয়। অপব্যবহার করলে জবাবদিহি এড়ানো যাবে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যখন মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় ঘোষণা করা হলো, তখনো তার কিংবা তার দলের অনুসারীদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। তিনি প্রতিবেশী দেশে আশ্রিত থেকে দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। এই প্রতিশোধপরায়ণ মানসিকতার জন্য বিচার হলো সবচেয়ে ভালো প্রতিষেধক। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে অন্তত ১৩ জন ছিল নারী।

অপরাধীরা যেমন অপরাধের চিহ্ন রেখে যায়, তেমনি হাসিনা তার প্রতিটি অপরাধের প্রমাণ রেখে গেছেন। তিনি শুধু হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ছিলেন না, বাস্তবায়নের তদারককারীও ছিলেন। তিনি বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের ওপর নজরদারি করতে গঠন করেছিলেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), যারা মানুষের কথোপকথন রেকর্ড করত। এনটিএমসি হাসিনার টেলিফোনও রেকর্ড করত। এনটিএমসির ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই রেকর্ড করা একটি ফোনকলে শেখ হাসিনা তার এক সহযোগীকে বলেন, তিনি তার নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে। ওপেন নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি একদম। এখন লিথাল ওয়েপনস (প্রাণঘাতী অস্ত্র) ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে, সোজা গুলি করবে। ওইটা বলা আছে। আমি এত দিন বাধা দিয়ে রাখছিলাম... ওই যে স্টুডেন্টরা ছিল, ওদের সেফটির (নিরাপত্তার) কথা চিন্তা করে।’ পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটির তৎকালীন মেয়র ও তার আত্মীয় ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে এই ফোনালাপে বিক্ষোভ দমনে হেলিকপ্টার ব্যবহার নিয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা। ফোন রেকর্ডে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘যেখানেই গ্যাদারিং (জমায়েত) দেখবে, সেখানে ওপর থেকে... এখন ওপর থেকে করা হচ্ছে, অলরেডি শুরু হয়ে গেছে কয়েকটা জায়গায়। কিছু (বিক্ষোভকারী) সরে গেছে।’ বিবিসি ও আল জাজিরা স্বাধীনভাবে কল রেকর্ড যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছে এই কণ্ঠ ছিল শেখ হাসিনার।

ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ মামলার তিন আসামির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেগুলো হলো উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা, রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় আন্দোলনরত ছয়জনকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা। এর মধ্যে সাভারে লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাটি ছিল আরো নির্মম। যাদের পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন তখনো জীবিত।

মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি জবানবন্দিতে বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে সরাসরি ‘লেথাল ওয়েপন (মারণাস্ত্র)’ ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনার ওই নির্দেশনা তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মাধ্যমে পেয়েছিলেন। আসাদুজ্জামান খান সে সময় ঢাকার কসাই হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।

অভ্যুত্থান দমনে শেখ হাসিনার নির্মমতা ছিল শিশুহত্যায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কমপক্ষে ১৩৩ শিশু শহীদ হয়েছে। তাদের মধ্যে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শ্রমে নিয়োজিত শিশুরাও রয়েছে। এই শিশুদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল ১১৭ জন।

শেখ হাসিনার বিচারের এই দিনে আমাদের মনে পড়ে এই আন্দোলনের সর্বকনিষ্ঠ চার বছর বয়সি শিশু আহাদের কথা। শহীদ হওয়া সবচেয়ে ছোট এই শিশুটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগে নিজ বাসার বারান্দায় ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। পরদিন ২০ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আহাদের মতোই বাসায় থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে বাবা ও মায়ের কোলে ঢলে পড়েছিল আরো কয়েকজন শিশু। ছয় বছর বয়সি নারায়ণগঞ্জের রিয়া গোপ বাসার ছাদে খেলার সময় বাবার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল। একইভাবে রাজধানীর মিরপুরে ১০ বছর বয়সের সাফকাত সামির কিংবা উত্তরায় ১৫ বছর বয়সি নাঈমা সুলতানা মারা গিয়েছিল পুলিশ-র‍্যাবের বুলেটে। অনেকে মারা গেছেন হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে। এ সময় হেলিকপ্টার হয়ে উঠেছিল এক আতঙ্ক। আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার নির্মমতায় চার থেকে ১২ বছর বয়সি শিশু মারা গেছে ১১ জন। ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সি শিশু মারা গেছে ৩৯ জন এবং ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশু মারা গেছে ৮৩ জন।

জুলাই-আগস্টে হাসিনার নির্দেশে যখন দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছিল, তখন এ দেশের মানুষ তার অপরাধের শাস্তির কথাও জানিয়েছিল। ঢাকার দেয়ালে দেয়ালে লেখা ছিল—‘খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই।’ রায় ঘোষণার পর শহীদের পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। আহতরা তাকে দিল্লি থেকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন। হাসিনার বিচারের রায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।

হাসিনা দিল্লিতে বসে এখন মিথ্যাচার করছেন। তিনি বলছেন, এসব মৃত্যুর কথা তিনি জানতেন না। ভারতের গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, হাসিনাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দেওয়া হয়নি। একতরফা বিচার করা হয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে বলা হয়েছে, পলাতক কোনো আসামি তার ইচ্ছা অনুযায়ী আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন না। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগে দেওয়া হয়েছে।

হাসিনার সৎ সাহস থাকলে তিনি বিচারের মুখোমুখি হতেন। তখন ইচ্ছা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারতেন। খালেদা জিয়াসহ এ দেশের রাজনীতিবিদরা বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু হাসিনা দিল্লিতে নিরাপদে জীবনযাপন করছেন। তার পুত্র রায়ের দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলেছেন, তার মা নিরাপদে দিল্লিতে আছেন, তার কিছুই হবে না। আসলে এ দেশের মানুষ, আইন ও আদালতের প্রতি হাসিনার কোনো দায়বোধ নেই। তিনি ক্ষমতায় থাকতে দিল্লির স্বার্থ পূরণ করেছেন; এখন দিল্লি হয়ে উঠেছে তার আশ্রয়স্থল।

আমাদের ভুলে গেলে চলবে না শেখ হাসিনার অপরাধের মাত্রা শুধু জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতা হত্যার মধ্যে সীমিত নয়। যে নির্মমতার মধ্য দিয়ে নারী, শিশু, স্কুলছাত্র ও নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, সে তুলনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই বিচার অপরাধের একটি অংশমাত্র। শুধু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড নয়, তার দেড় দশকের শাসনে গুম, খুন ও আয়নাঘরে রেখে মানুষের ওপর নির্যাতনের বিচার হওয়া জরুরি। তিনি ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে রাষ্ট্রকে জবরদখল করে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার কৌশল গ্রহণ করেছিলেন। তিনি জানতেন গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এ কারণে বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠকদের তিনি দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছিলেন। এর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হলো ইলিয়াস আলী গুমের ঘটনা। এই গুমের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গুমের পথ বেছে নিয়েছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শত শত মানুষ গুম করা হয়েছিল। এরপর তিনি গুম হওয়া ব্যক্তিদের আটকে রেখে ধীরে ধীরে হত্যার কৌশল নিয়েছিলেন। একজন নিকৃষ্ট ক্ষমতা দখলকারী নিপীড়ক শাসকের সব বৈশিষ্ট্যই শেখ হাসিনার মধ্যে ছিল। তার টেলিফোন কথোপকথন থেকে উঠে এসেছে, তিনি কীভাবে ঠান্ডা মাথায় মানুষকে হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন। তিনি একসময় সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তার চাই পাওয়ার। এই পাওয়ার বা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যা ইচ্ছা তা-ই করেছেন।

শেখ হাসিনা চরিত্রগতভাবে নির্মম ও স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার মানসিকতা পেয়েছিলেন উত্তরাধিকার সূত্রে। শেখ হাসিনার বাবাও ছিলেন তার মতো একজন নিকৃষ্ট স্বৈরাচার। তিনি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছিলেন। তখনো তার পরিবার একইভাবে দুর্নীতি ও লুটের সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু সে সময়ের অপরাধের বিচার না হওয়ার কারণে ২১ বছর পর মুজিবকে দেবতায় রূপ দিয়েছিলেন তার কন্যা। মুজিবের স্বৈরশাসন ও নিপীড়ন-নির্যাতনের ঘটনা পরবর্তী প্রজন্মের কাছ থেকে আড়াল করা হয়েছিল।

এই বিচারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করল। এ দেশের মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে নিপীড়ক শাসককে শুধু হটায়নি, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে পেরেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শেখ হাসিনা ও তার প্রধান সহযোগী আসাদুজ্জামান খান কামালকে বিচারের সময় আদালতের কাঠগড়ায় তোলা যায়নি। তারা এখন দিল্লি ও কলকাতায় বসে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত।

ভারত সরকার শেখ হাসিনার দেড় দশকের নিপীড়নমূলক শাসনের শুধু ঘোরতর সমর্থক ছিল না, কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেশটি ছিল নিপীড়নের অংশীদার। এখন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া অপরাধীদের ভারত সরকার কোনো আইনি ও নৈতিক অবস্থান থেকে আশ্রয় দিতে পারে না। শেখ হাসিনার অপরাধ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। যদি তাকে এখনো ভারত সরকার আশ্রয় দেয়, তা হবে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে অবজ্ঞার শামিল। এছাড়া দুদেশের বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুযায়ী দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের ফেরত দিতে ভারত সরকার বাধ্য। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এখন প্রধান কর্তব্য হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা নিয়ে এই বিচারের রায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া এবং শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের যেকোনো মূল্যে দেশে ফেরত আনা।

যদি কোনো স্বৈরশাসক অপরাধ করেও বিচার এড়াতে পারে, তাহলে পরবর্তী শাসকরাও একই পথ বেছে নিতে সাহস পায়। বিচার না হলে বারবার একই ধরনের দমন-পীড়ন, গুম-হত্যা, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার ফিরে আসে। যারা হত্যা, নির্যাতন, গুম, জুলুম বা অবিচারের শিকার হয়েছে, তাদের পরিবারের জন্য বিচার শুধু শান্তি নয়, তাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি। এই বিচারের মধ্য দিয়ে সমাজকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে—তোমাদের কষ্ট রাষ্ট্র অস্বীকার করবে না। এভাবেই একটি সভ্য রাষ্ট্র গড়ে ওঠে।

যখন একজন স্বৈরশাসকের বিচার হয়, তখন আদালত, আইন ও সাংবিধানিক কাঠামো সবই শক্তিশালী হয়—রাষ্ট্র আর ব্যক্তির খেয়ালখুশির ওপর নির্ভরশীল থাকে না। স্বৈরশাসকের বিচার কোনো প্রতিশোধ নয়, রাষ্ট্রের নৈতিক মেরুদণ্ডকে সোজা করার একটি প্রক্রিয়া মাত্র। স্বৈরশাসকের বিচার না হলে সমাজ দুর্বল হয়, ইতিহাস বিকৃত হয়, আর ক্ষমতাধরেরা আগের ভুল করার সাহস পায়। হাসিনার এই বিচার ভবিষ্যতে বাংলাদেশে স্বৈরাচারী শাসকের ফিরে আসার পথকে রুদ্ধ করবে।

লেখক : সহযোগী সম্পাদক, আমার দেশ

alfaz@dailyamardesh.com

হাসিনা দেশে ঢোকার ১৩তম দিনে খুন হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া

আধুনিক ঢাকার রূপকার জি এ মাদানি

ইহুদিবাদ ও পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে মামদানির লড়াই

আমাদের রাজনীতির মুকুটহীন সম্রাট ভাসানী

হাসিনার সব অপরাধেরই বিচার হওয়া উচিত

বাংলাদেশ ঘিরে দুই পরাশক্তির দ্বন্দ্ব

দুর্নীতি দমনে নির্মমতাই কি শেষ পথ?

ভারতের ইসরাইল-প্রীতি : সুদূরপ্রসারী প্রভাব

রোহিঙ্গা সংকট : বাস্তবতা ও অগ্রগতির পথ

এবারের নির্বাচনে ভোটারদের ভাবনা