২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, ৩৬ জুলাই বা বর্ষাবিপ্লব দীর্ঘদিনের না-পারা আন্দোলন-সংগ্রামকে পরিমাণগত পরিবর্তন থেকে গুণগত পরিবর্তনের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। ওই দিন ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী জালিমতন্ত্রের পতন নিশ্চিত করে ছেড়েছে ছাত্র-শ্রমিক-জনতা। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের আওয়ামী-বাকশালি মুজিবি স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ দিয়ে শুরু। এরপর একটা সুস্পষ্ট সিলসিলা রেখে ১৯৯৬-২০০১ পর্যায়ের হাসিনার আওয়ামী স্বেচ্ছাচার-দুরাচার পেরিয়ে পুনরায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্বেচ্ছাচার, মাফিয়াতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদের এক প্রলম্বিত অসহ্য কালো থাবা দেশের সমগ্র ভূগোলে বিস্তৃত হয়েছিল। বর্ষাবিপ্লবের ৩৬ দিনে প্রায় সমগ্র জনসমাজ তথা ৯২ দশমিক ৫ ভাগ মুসলিম জনতা সার্বিক প্রচেষ্টা, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ, লড়াই-সংগ্রাম, আহত ও পঙ্গু হওয়া এবং জীবনদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিনার ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করেছে। এক প্রচণ্ড বৈপ্লবিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণভবন দখল হয়েছে এবং পালিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভীরু অথচ সবচেয়ে হিংস্র দানবী হাসিনা ও আওয়ামী গণশত্রু ফ্যাসিবাদী শক্তি। তাদের মূল আশ্রয় হয়েছে হিন্দু আধিপত্যবাদী ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীর কোলে। এই বর্ষাবিপ্লবের ভেতর দিয়ে হাজার বছরের পথচলার অভিজ্ঞতা, লড়াই ও অযুত মুসলিম জনতার মহাবৈশ্বিক ও বৈশ্বিক দৃষ্টি, জীবনচেতনা ও দ্বীনি আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত হয়েছে।
সেই মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমসাময়িক কাল থেকে শুরু করে নানাভাবে নানাপথে এই উপমহাদেশে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে পড়েছিল। তখন থেকে মুসলিম জনতা মুসলিম মুজাহিদদের নেতৃত্বে লড়াই-সংগ্রাম জারি রেখে একের পর এক পথের বাঁক ও বিপদ অতিক্রম করছিল সব ক্ষেত্রেই জীবনদানের বিনিময়ে। এরই এক পর্যায়ে ঘটেছিল ১৮৫৭ সালের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন ও জমিদারবিরোধী প্রথম স্বাধীনতার লড়াই, যার নেতৃত্বে ছিল প্রায় সর্বাংশে মুসলিম সিপাহি-জনতা। আমরা হাবিলদার রজব আলীকে ভুলিনি, যেমন ভুলিনি বাহাদুর শাহ পার্কসহ নানা জায়গায় মুসলিম বীরদের হত্যা করে তাদের লাশ ঝুলিয়ে রাখার কাহিনি। আমরা ভুলে যাইনি যেমন বালাকোটের সংগ্রাম, তেমনি ভুলে যাইনি জান মুহাম্মদ, মীর নিসার আলী তিতুমীর ও হাজী শরীয়ত উল্লাহর লড়াই। আমরা ভুলে যাইনি ১৯০৫ সালের পূর্ব বাংলা ও আসাম নিয়ে গঠিত মুসলিম বাংলার সেটেল্ড ফ্যাক্টকে কীভাবে আনসেটেল্ড করা হয়েছিল হিন্দুত্ববাদীদের দ্বারা এবং এতদঞ্চলের বাইরে থেকেই নিজেদের প্রজার ওপর পীড়নের ঘৃণ্য অমানবিক স্বার্থ-সংশ্লেষ। এরপর ১৯২৯ সালের পথের বিচ্ছিন্নতা, ১৯৩৭-৩৯ পর্যায়ের হিন্দু কংগ্রেসীয় অত্যাচারের মধ্য দিয়ে মুসলিম নিপীড়ন এবং ডে অব ডেলিভারেন্স এবং শেষ পর্যায়ে ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে পালন করে মুসলিমরা। মাঝখানে গৃহীত হয় স্বতন্ত্র মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য ভিত্তিস্বরূপ ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব। এভাবেই তৈরি হয় পাকিস্তান, ইসলামকে কেন্দ্রে রেখে। কিন্তু প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ায় ২৪ বছরের অভ্যন্তরীণ ঔপনিবেশিক জীবন শেষ করার জন্য আমাদের এই জনপদের মুসলিমদের লড়াই ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা ও মুক্তির লড়াইতে রূপান্তরিত হয়। গৃহীত হয় সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা। ১৯৭১ ছিল আমাদের হাজার বছরের পথচলার একপর্যায়ের সর্বোচ্চ ও সর্বশ্রেষ্ঠ সামাজিক অভিজ্ঞতা, সামষ্টিক লড়াই। কিন্তু ১৯৭২ সালেই হিন্দু আধিপত্যবাদী ভারতের দ্বারা প্রদত্ত তথাকথিত চার জাতীয় নীতির মাধ্যমে একদলীয় জনসম্মতিহীন সংবিধান গ্রহণ করা এবং ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের সঙ্গে বেঈমানি করা হলো। রাষ্ট্র ও জনজীবনের মৌলিক কোনো বদল হলো না। আবার শুরু হলো নতুন করে লড়াই।
২০২৪ সালের বর্ষাবিপ্লবের মাধ্যমে এবং শেষ বর্ষাফলক হিসেবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিছক চাকরির কোটা থেকে সমগ্র জনপদের বঞ্চনার বিষয়াদিকে সামনে নিয়ে এলো। উঠল বৈষম্যবিরোধী সাম্য, সমতা ও ইনসাফের দাবি। এ তো সেই হাজার বছরের পথচলার, শিকড়ের, অভিজ্ঞতার, অভিজ্ঞানের ও সমগ্র জীবনদৃষ্টির নির্যাসসূত্র। সেই কারণে ১৯৭১ সালের আকাঙ্ক্ষার নতুন জাগৃতি দেখতে পাই ২০২৪ সালের বর্ষাবিপ্লবে। মাঝে রয়ে যায় অন্তঃসলিলা স্রোতোধারা ও মুসলিম জনতার সামষ্টিক অভিজ্ঞান। উঠে আসে অন্তর্নিহিত অনুচ্চারিত ও উচ্চারিত আগ্রহ এবং সম্মিলিত দ্বীনি জীবনযাপনের প্রস্ফুটিত স্বপ্নের নিঃস্বন। এজন্যই জুলাই সনদের মাঝে মুসলিমপ্রধান দেশের গণমানুষ তথা কোটি কোটি তৌহিদি জনতার সামগ্রিক ত্যাগ ও আকাঙ্ক্ষার প্রকৃত মূল্যায়ন ও যথার্থ প্রতিফলন থাকা একেবারেই অনস্বীকার্য ছিল; কিন্তু তা ঘটেনি। বরাবরের মতো এলিটবৃত্ত যে ঊনজনের প্রতিনিধিত্বকারী এবং অধিজনের সঙ্গে সম্পর্কহীন তা দৃশ্যমান। পুরো জুলাই সনদে একটি বাক্যও নেই সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধে। কিন্তু সম্পূর্ণ পাঠজুড়ে রয়েছে একটি নিদারুণ নিষ্পৃহতা, যা জানিয়ে দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গঠিত নারী কমিশনের কোনোই উল্লেখ ছাড়াও কীভাবে সাধারণ জনগণ তো বটেই, একই সঙ্গে আলিম-উলামাকেও বিভ্রান্ত করা যায়, বশে আনা যায়। জুলাই সনদে সেই গণশত্রুতার বহিঃপ্রকাশসহ নারী কমিশনের মহাজনি সিদ্ধান্ত অতি কূটকৌশলে গৃহীত হয়েছে। কীভাবে? উত্তর হচ্ছে—জুলাই সনদে আল্লাহ, তাওহিদ, বিসমিল্লাহ, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস হবে যাবতীয় কার্যকলাপের ভিত্তি, রসুল (সা.), ঈমান, ইসলাম, মুসলিম, কোরআন, সুন্নাহ, শরিয়াহসহ কোনো কিছু সামান্যতম উচ্চারণও না রেখে প্রমাণ করে দেওয়া হয়েছে যে, রাষ্ট্র হবে ইহলৌকিক (সেক্যুলার) এবং এতে ইসলাম ও মুসলিমের কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই। এত বড় কূটকৌশলী বিজয় আমাদের মূঢ়, মতলবি, মধুলোভী এলিটবৃত্তের স্বেদ, স্বাদ ও স্বার্থের সংহতকরণের মাধ্যমে ঘটল। অথচ জনতা তো বটেই, সেই সঙ্গে আলিম-উলামাও কিছুই টের পেলেন না। তারা বুঝতেই পারলেন না, কী ভয়াবহ, তাৎপর্যপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী শিকড় বিচ্ছিন্নকরণ সূত্র তাদের গেলানো হয়েছে। প্রথম সমূহ বিপদ এই জুলাই ঘোষণাতেই অন্তর্ভুক্তি পেয়ে গেছে। আমরা রাষ্ট্র পুনর্গঠনে, নবরাষ্ট্র নির্মাণে, নতুন জীবনের রূপকল্পের জন্য এলিটবৃত্তের দ্বারা প্রদত্ত জুলাই সনদে আমাদের দ্বীন ও হাজার বছরের পথপরিক্রমার লড়াই-সংগ্রামকেই হারিয়ে ফেলেছি। এটাই হচ্ছে জুলাই সনদের সবচেয়ে বড় মাজেজা, তা কেউ বুঝুন আর না বুঝুন। এখন ৯২ দশমিক ৫ ভাগ মুসলিম জনতা এবং তাদের জীবনবোধ ও দীনের প্রতিনিধিত্ব দাবিকারী আলিম-উলামাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদের করণীয় সম্পর্কে।
দ্বিতীয়ত, জুলাই সনদে জনগণের আমানতদারি রাষ্ট্রমালিকানার বিষয়ে কোনো রকম স্পষ্ট, যথার্থ ও কাম্য পরিকল্পনার উল্লেখ নেই। অর্থাৎ জনগণ যে রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক এবং এলিটবৃত্ত, শাসকগোষ্ঠী, রাজনৈতিক মধ্যস্বত্বভোগী, পায়াভারী আমলাতন্ত্র, লুম্পেন বুর্জোয়া, অলিগার্ক, ক্ষমতালিপ্সু ও ধান্ধাতাড়িত এবং প্রতিনিধিত্বের ভানকারী ঊনজন চক্র যে সত্যিকার অর্থে প্রভু তো নয়ই, বরং তারা যে জনগণের কৃত্যক, করণিক, সাময়িক প্রতিনিধি এবং সে কারণে জনগণের নিয়ন্ত্রিত সেবক এবং তারা যে জনগণকে প্রজা ভেবে নিজেদের রাজার স্থানে, কর্তাপর্যায়ে, সাততলা আর গাছতলারূপী অসম অবস্থাতে, বৈষম্যযুক্ত সম্পর্কে নিয়ে যেতে পারে না—সেই সত্য একেবারের অনুল্লেখিত রয়ে গেল। তাহলে রাষ্ট্রসংস্কার কোথায় রইল? নব রাষ্ট্রনির্মাণ কীভাবে হবে? হাজার বছরের পথচলা ও লড়াই-সংগ্রাম, ১৯৭১ সালের লাখো শহীদের স্বপ্ন, ২০২৪ সালের বর্ষাবিপ্লবের উচ্চকিত আকাঙ্ক্ষা আজ কোথায়? তাই পুরো দেশবাসীকেই ভাবতে হবে, অত্যন্ত স্বজ্ঞানে ও সচেতনতাসহ যে, জুলাই সনদ কোনো অবস্থাতেই সমষ্টি জনগণের, কোটি বনিআদমের, আদিগন্ত ভূগোলের যাপিত জীবনের লালিত স্বপ্ন, ইচ্ছা ও সম্মতির প্রতিফলন ঘটায়নি। কাজেই কীভাবে জুলাই সনদকে ঐতিহাসিক সফর, সামাজিক অভিজ্ঞান, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠের মনন, ১৯৭১ সালের স্বপ্ন এবং ২০২৪ সালের বর্ষাবিপ্লবের সুস্পষ্ট উচ্চারিত আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করা যায়, সেটাই হবে এ পর্যায়ে জনমানুষের ও প্রতিশ্রুত শ্রেণিত্যাগী পাবলিক ইন্টেলেকচুয়ালদের চিন্তা ও বিবেচনার, কর্তব্যের ও প্রতিবাদ-প্রতিরোধের ভিত্তিশর্ত। পুরোনো বন্দোবস্ত বাতিল করে নতুন বন্দোবস্ত আনতে হলে বিদ্যমান রাষ্ট্র ও ক্ষমতাসম্পর্ক বদলে ফেলে নতুন রাষ্ট্র ও ক্ষমতাসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে হলে চলতি সংবিধান ও গঠনতন্ত্র বাতিল করে নতুন সংবিধান ও গঠনতন্ত্র পেতে গেলে জুলাই সনদের পুনঃনিরীক্ষণ, খোলনলচে বদল ও নতুনভাবে পুনর্লিখন করে সেটাকে নিয়ে যেতে হবে গণভোটের মাধ্যমে জনসম্মতির জন্য। পুরো বাংলাদেশের ভূগোলজুড়ে জনগণ তাদের সুস্পষ্ট ইচ্ছা, সম্মতি ও বৈধতা ব্যক্ত করবে। সেটাই হবে ১৯৭১ আর ২০২৪ সালের প্রকৃত স্বীকৃতি।
তৃতীয়ত, জুলাই সনদ একে তো ওপরে বর্ণিত সমস্যাযুক্ত, তদুপরি এটা কোনোভাবেই নিজেকে জনগণের সঙ্গে সম্পর্কিত করতে পারেনি। এখানে বাস্তবায়নের পদ্ধতি, আইনি ভিত্তি, জন-ইচ্ছা যাচাই ও বিদ্যমান সংবিধান-গঠনতন্ত্রের পূর্ব সংশোধন সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গিয়ে কেবলই একটি লোকদেখানো দায়সারা কাজ করা হয়েছে। এ তো একেবারেই যেন বা রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বিশাল ব্যয় ও সময়ক্ষেপণের পর পর্বতের মূষিক প্রসব। আর জনতার সঙ্গে এর সামান্যতম নির্মাণকালীন সংযোগ ছিল কি? এভাবেই এলিটবৃত্ত বরাবরের মতো বিচ্ছিন্ন থেকে জনগণকে প্রজা হিসেবে রেখে দেওয়ার এবং রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার যৎসামান্য প্রকৌশলগত কায়দাকানুনই নতুন করে গ্রহণ করেছে। এতে দিনবদল হবে না। রাষ্ট্র ও ক্ষমতাসম্পর্ক অপরিবর্তিতই রয়ে যাবে। জনগণের আমানতদারি রাষ্ট্রমালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে না। প্রজা ও প্রতিনিধি-প্রভুর পূর্ববৎ সম্পর্কই টিকে থাকবে। ১৯৭১ আর ২০২৪ সালের স্বপ্ন এই পথেই অপসৃয়মাণ হয়ে যাবে। দিনের পর দিন আসবে, রাতের রাত। যে তিমিরে ছিল জনগণ, সেখানেই রয়ে যাবে। তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হওয়া অনেক দূরের স্বপ্নই থেকে যাবে। যে আশার বিপ্লব জনমনে ঘটেছিল, সেটা এখন হতাশার গহ্বরে নিপতিত। আজকে যদি মনেও হয় এসব নিরাশার কথা, তবে বলতে হবে মরীচিকা আর কূহকের পেছনে ছুটে যেতে নেই। সম্ভাবনা সেখানেই, সত্যিকার ভবিষ্যৎ সেই পথেই, যেখানে হতাশা কাটিয়ে নতুন করে দাঁড়াতে হয়। পাল্টা সংগ্রাম সাধনাই এখনকার কাজ। আমরা বৈষম্যবিহীন সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ইনসাফ ও দ্বীনভিত্তিক জীবনে যাবই, যদি ভেঙে না পড়ে উঠে দাঁড়াই। নিজেদের জানান দিই সমষ্টি মানুষ হিসেবে। আমাদের ইচ্ছাতেই যে রাষ্ট্র, ক্ষমতাসম্পর্ক, সরকার, নির্বাচন আর সবকিছু চলবে, তা বুঝিয়ে দেওয়ার প্রকৃত সময় এখনই।
লেখক : অধ্যাপক (অব.), রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়