আন্ডাররেটেড কি নাÑএমন প্রশ্ন তাইজুল ইসলামকে করা হয়েছে বহুবার। একেকবার একেক ধরনের উত্তর পেয়েছেন তিনি। এবার অবশ্য দিয়েছেন একেবারে ভিন্ন উত্তর। তার মতে ‘আন্ডাররেটেড’ কথাটা তিনি শুনতে পান শুধু সংবাদ সম্মেলনে এলেই। আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে চার উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। তাতে টেস্ট ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক তিনি। এমন দারুণ কীর্তির পর তাইজুল ইসলাম জানান, তেমন কোনো স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেননি তিনি। লক্ষ্য রেখেছেন, যতটা সম্ভব উইকেট সংখ্যায় এগিয়ে যেতে।
আইরিশ ব্যাটার ম্যাথিউ হ্যামফ্রিসকে আউট করে সাকিবের সমান ২৪৬ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন তাইজুল ইসলাম। তাতে সাকিবের সঙ্গে এখন যৌথভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক এখন তিনি। তার জন্য এখন এককভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়া সময়ের ব্যাপারমাত্র। শিখরে পৌঁছালেও তাইজুল কখনো স্বপ্ন দেখেনি এই সাফল্যের। তার কথায়, ‘জাতীয় দলে খেলার পরে কতদূর যাব, হয়তো বা অনেকজনের গোল থাকে। তো আমার ব্যক্তিগতভাবে এরকম কোনো গোল ছিল না।’ নির্দিষ্ট কোনো গোল না থাকলেও চেষ্টা থাকবে জানিয়ে বলেন, ‘চেষ্টা করব আমি যতদূর যাইতে পারি আরকি।’
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার পথে ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় সাকিব আল হাসানের ছত্রছায়ায় ছিলেন তাইজুল ইসলাম। এ নিয়ে অবশ্য তার কোনো আক্ষেপ নেই তার। তাইজুল বলেন, ‘না। আসলে জিনিসটা এমন না। আপনি যখন ন্যাশনাল টিমে খেলবেন তখন সব সময় পারফরম্যান্স করতে হবে। এটা হচ্ছে পারফরম্যান্সের জায়গা।’ তাইজুলের আশা, ‘আমার ফোকাস থাকবে পারফরম্যান্সের দিকে। আমি যতদিন আমি খেলব, পারফরম্যান্স করতে পারব, ততদিন আমি হয়তো বা একটা ভালো পজিশনে যেতে পারব।’
তাইজুল ইসলামের কাছে বেশ কয়েকবারই কয়েকটি সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন হয়েছে তিনি আন্ডাররেটেড কি না। তাইজুল অবশ্য তেমন কিছু ভাবেন না। এসব আলোচনা সংবাদমাধ্যমে না আসায় ভালো বলে মনে করেন। তার কথায়, ‘এখানে আন্ডাররেটেড আসলে এই কথাটা আমি যখন মিডিয়াতে প্রেসে আসি এই কথাটা বারবার আসে। আমার কাছে মনে হয় এরকম ধরনের কথা বারবার না আসাটাই ভালো। বিকজ এই ইস্যুটা কিন্তু অন্যরা কেউ তোলে না, হয়তোবা মিডিয়ার মাধ্যমেই ছড়ায় এই আন্ডাররেটেড ওই আন্ডাররেটেড। তো আমার কাছে মনে হয় যে এই ওয়ার্ডটা যত বেশি উঠবে তত বেশি আসলে এটা ছড়াবে। তো এগুলো না ছড়ানোই বেটার।’