আগামী ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ দল। এর আগে ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে বিশ্বকাপের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে চান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস। তার মতে, তিন ভেন্যুতে বিপিএল হওয়ায় ক্রিকেটাররা উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। আর তাতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধরা দিবে সাফল্য।
আজ একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে গণমাধ্যমকে এই কথা জানান লিটন দাস। তার কথায়, ‘আমার মনে হয় বিপিএল একটা ভালো মঞ্চ হবে যে তিনটা ভেনুতে খেলা হবে, তিন ভেনুতে তিন রকম ডিফারেন্ট উইকেট হবে। এই খেলার আইডিয়াগুলো ওয়ার্ল্ড কাপে কাজে দেবে।’ সিলেট, চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় শেষ হবে বিপিএলের এবারের আসর। ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে খেলার এই অভিজ্ঞতা দলের জন্য কাজে দেবে বলে বিশ্বাস অধিনায়কের। তিনি বলেন, ‘আপনি দেখবেন বিপিএলেও তিনটি ভেন্যুতে তিন রকম খেলা হবে। আপনি সব সময় যাবেন আর ভালো উইকেট পাবেন জিনিসটা তেমনও না, আবার যখন যাবেন সব সময় খারাপ উইকেট পাবেন তেমনও না, আপনি পার্টিকুলার ডেতে কেমন উইকেট পাচ্ছেন, সে উইকেট অনুযায়ী আপনি নিজেকে মানিয়ে নিয়ে টিমকে হেল্প করছেন কি না এটা ইম্পর্ট্যান্ট।’
বিপিএলে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স বিশ্বকাপে দলের জন্য সাহায্য করবে বলে মনে করেন লিটন দাস। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হয় বিপিএলটা, এখানে যদি তারা পারফর্ম করতে পারে, আমরা যেভাবে আমরা ন্যাশনাল টিমে যে প্লেয়ারগুলো আছি, ওভারঅল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের যে প্লেয়ারগুলো আছে তারা যদি সবাই পারফর্ম করতে পারে, আমার মনে হয় এটা একটা ওয়ার্ল্ড কাপে যাওয়ার আগে একটা ভালো কনফিডেন্স ডেভেলপ করবে।’
এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস ও প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। বিশ্বকাপের আগে এই দ্বন্দ্ব দলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে লিটন অবশ্য দ্বন্দ্বের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেখেন, একটা ফ্যামিলিতে দুয়েকটি কথাবার্তা মনে হতেই পারে। আমার মনে হয় আমরা অনেক ভালো এই জিনিসটা ওভারকাম করেছি এবং আমরা কথাবার্তাও বলেছি এই জিনিসটা নিয়ে। সো এটা নিয়ে আর কোনো ইস্যু নেই।’
এছাড়া আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে জাতীয় দলের সঙ্গে শেষ হচ্ছে ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল ও সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের অধ্যায়। আশরাফুলকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল শুধু আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য আর সালাউদ্দিন চাকরি ছেড়েছেন। ড্রেসিংরুমে দেশীয় কোচরা থাকলে কতটা উপকার হয়? সেই প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেন, ‘এটা তো আমার কন্ট্রোলে না, বাট একটা জিনিস হচ্ছে যদি লোকালরা আমাদের ভালো করে এবং আমাদের যারা বিসিবিতে আছে তারা যদি মনে করেন যে সেই মানুষটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য হেল্পফুল, হোয়াই নট? আপনি শুধু বড় বড় নাম দেখলে হবে না, কতটুকু কার্যকর হচ্ছে, প্লেয়াররা হ্যাপি কি না বা তার কাছ থেকে আমরা কোনো কিছু শিখতে পারছি কি না এটা ইম্পর্ট্যান্ট।’