চলতি বছরের শুরুতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি। তবে বুধবার ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির আনন্দের দিনটি তার অন্যরকম কিছু। এই সেঞ্চুরি তার নিজ ঘরের মাঠে। অ্যাডিলেডে ক্যারির সেঞ্চুরি এবং ওসমান খাজার সেঞ্চুরি মিসের দিনে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ আট উইকেটে ৩২৮। উইকেট আরো কয়েকটি কম পড়লে টেস্টের প্রথম দিনটি বলা যেত পুরোপুরি অস্ট্রেলিয়ার দিন। প্রথম দিনই আট উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডও কিছু অর্জনের দাবি তুলতেই পারে।
তবে সকালে ম্যাচের শুরুটা যেভাবে হয়েছিল, তাতে শেষ বিকালে স্কোরকার্ডের দিকে তাকিয়ে অস্ট্রেলিয়া অবশ্যই সন্তুষ্টি খুঁজছে। ২৫ ওভারে ৯৪ রানে নেই চার উইকেট। এই স্কোর নিয়ে লাঞ্চে দুশ্চিন্তায় সময় কাটল অস্ট্রেলিয়ার।
দিনের দ্বিতীয় সেশনে অবশ্য শুরুর সেই সংকট থেকে বেরিয়ে এলো স্বাগতিকরা। ইনজুরিতে পড়ায় স্টিভেন স্মিথ এই টেস্ট মিস করছেন। তার জায়গায় খেলতে নেমে ওসমান খাজার ইনিংসও থামতে পারত অনেক আগেই। স্লিপে ক্যাচ মিসের সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগান তিনি। ‘দ্বিতীয় জীবন’ পেয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সংকট থেকে বের করে আনলেন। যেভাবে খেলছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল অ্যাডিলেডে সেঞ্চুরির সুখ পেতে চলেছেন তিনি। কিন্তু ৮০ রানে তাকে থামিয়ে দেন উইল জ্যাকস।
অ্যাডিলেডে প্রথম দিনের বাকি কাহিনি শুধু অ্যালেক্স ক্যারিকে ঘিরে। পাল্টা আক্রমণে ইংল্যান্ড বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি। ৭৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর নিজের ইনিংসকে লম্বা করার পথে হাঁটেন তিনি। আট বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ১৩৫ বলে সেঞ্চুরি পুরো করলেন নিজের প্রিয় মাঠে, নিজ আঙিনায়। জস ইংলিশের সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৮১ বলে ৫৯ রান যোগ করেন। দিনের শেষভাগে মিচেল স্টার্ককে নিয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে জুড়ে দেন আরো পাক্কা ৫০ রান। শুরুটা মন্দ হলেও মিডল অর্ডারে চারটি হাফ সেঞ্চুরির জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৩০০ ছাড়িয়ে যায়।
ইংল্যান্ডের হয়ে এদিন সেরা বোলার ছিলেন জোফরা আর্চার। ১৬ ওভারে ২৯ রান খরচায় তিন উইকেট নেন তিনি।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটিতে হেরে ইংল্যান্ড পিছিয়ে আছে। সিরিজ বাঁচাতে হলে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে জিততেই হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : (প্রথম দিন শেষে) অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ৩২৬/৮ (৮৩ ওভারে, খাজা ৮২, ক্যারি ১০৬, মিচেল স্টার্ক ৩৩*, আর্চার ৩/২৯)।