এই সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিনিধি দল সিরিয়া ও লেবাননে সফর করবে বলে জানিয়েছেন স্লোভেনিয়ার জাতিসংঘ দূত স্যামুয়েল জ্বোগার। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে স্লোভেনিয়া পরিষদের সভাপতিত্ব গ্রহণ করায় এই সফর তাদের নেতৃত্বে হবে।
জ্বোগার জানান, ছয় বছর পর নিরাপত্তা পরিষদের এটাই প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফর। আর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ও নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পর সিরিয়ায় এটি প্রথম সফর । তিনি বলেন, “১৪ বছর ধরে সিরিয়ানদের মনে হয়েছে জাতিসংঘ তাদের পাশে ছিল না। এই সফর তাদের সঙ্গে আস্থা পুনর্গঠনে সহায়তা করবে বলে আশা করছি।”
তিনি আরও জানান, অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমসহ আরো বহু বিষয়ে সিরিয়ার প্রতি নিরাপত্তা পরিষদের প্রত্যাশা এই সফরে স্পষ্ট করে জানানো হবে।
দক্ষিণ সিরিয়ায় সাম্প্রতিক ইসরাইলি হামলা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে জ্বোগার বলেন, “আমরা সিরিয়া–ইসরাইল, সিরিয়া–লেবানন এবং অঞ্চলের অন্যান্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংলাপ উৎসাহিত করব।”
সফরটি হচ্ছে ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের প্রথম বার্ষিকীর প্রাক্কালে। প্রায় ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর আসাদ গত ডিসেম্বরে রাশিয়ায় পালিয়ে যান, যার মাধ্যমে ১৯৬৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা বাথ পার্টির শাসনের অবসান ঘটে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শরাআর নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠিত হয়।
জ্বোগার জানান, স্লোভেনিয়ার সভাপতিত্বে “লিডারশিপ অব পিচ”–শীর্ষক একটি উন্মুক্ত বিতর্ক এবং মানবাধিকার দিবসে আফগানিস্তান ইস্যুতে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি পুরো ডিসেম্বরজুড়ে ফিলিস্তিন ও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পাবে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
এসআর