কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তার ছেলে বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নতুন মামলা হয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড ইস্যুতে ভারতের কেন্দ্রীয় আর্থিক অপরাধ তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি নথিভুক্ত করেছে দিল্লি পুলিশ।
সংস্থাটির দাবি, জনকল্যাণের জন্য কম দামে ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার প্রকাশক অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডকে (এজেএল) সরকার থেকে বরাদ্দ দেওয়া সম্পত্তি ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল ইডি এই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সোনিয়া ও রাহুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। তদন্তের অংশ হিসেবে ২০২২ সালে সোনিয়া ও রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
এর আগে দিল্লি, মুম্বাই ও লখনউতে বরাদ্দকৃত ৬৬১ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি দখলের জন্য নোটিশ দিয়েছিল ইডি। ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার প্রকাশক এজেএল এবং মালিক ইয়ং ইন্ডিয়ানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের তদন্তের বিষয়টি নোটিশে যুক্ত করা হয়েছিল।
গত ৩ অক্টোবর ইডির সহকারী পরিচালক শিব কুমার গুপ্তের দায়ের করা এফআইআরে সোনিয়া, রাহুল, সুমন দুবে, স্যাম পিত্রোদা, ইয়ং ইন্ডিয়ান, ডোটেক্স মার্চেন্ডাইজ প্রাইভেট লিমিটেড, সুনীল ভান্ডারি, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড এবং অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ, সম্পদ আত্মসাৎ ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘সরকারি সম্পত্তি জনসাধারণের কল্যাণে ব্যবহারের জন্য ভর্তুকিমূল্যে এজেএলকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে তা ইয়ং ইন্ডিয়ানের সুবিধাভোগী মালিকরা দখল এবং অপব্যবহার করেন, যা গুরুতর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং আর্থিক জালিয়াতি। এই সম্পত্তি জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য কম দামে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তা ব্যক্তিগত লাভের জন্য অবৈধভাবে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।’
অভিযোগে আরো বলা হয়, ‘প্রতারণা করে এজেএলসহ ২ হাজার কোটি রুপির সম্পত্তি ৫০ লাখ টাকায় অধিগ্রহণ করে সোনিয়া ও রাহুলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইয়ং ইন্ডিয়া। অভিযুক্তরা জাল রাজস্ব তৈরির মতো প্রতারণামূলক কার্যকলাপে জড়িত হয়ে এই সম্পদ ব্যবহার করেছেন। এর মাধ্যমে বৈধ লেনদেনের আড়ালে অবৈধ অর্থ পাচার করা হয়েছে।’