গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব কোনো জাতীয় ফিলিস্তিনি সংস্থার কাছে হস্তান্তরের ব্যাপারে হামাসের কোনো আপত্তি নেই। আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাতকারে একথা বলেছেন হামাস নেতা খলিল আল-হায়া। পাশাপাশি অস্ত্র সমর্পণের জন্য গাজায় ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান ও তাদের পুরো সেনা প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছেন তিনি।
গাজার ভবিষ্যত শাসনব্যবস্থা, অস্ত্র সমর্পণসহ নানা ইস্যুতে আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। আল-হায়া জানান, পুরো ফিলিস্তিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজি হামাস ।
অস্ত্র সমর্পণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হামাসের অস্ত্র সমর্পণ গাজায় ইসরাইলের দখলদারিত্ব এবং উপত্যকায় তাদের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ইসরাইলের দখলদারিত্ব শেষ হলে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কাছে অস্ত্র হস্তান্তর করা হবে। হামাসের অস্ত্রের ভবিষ্যৎ এখনো অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে।’
তিনি আরো জানান, রোববার নতুন এলাকায় ইসরাইলি জিম্মিদের লাশ সন্ধান করা হবে।
সীমান্ত ও গাজায় যুদ্ধবিরতির পর্যবেক্ষক হিসেবে জাতিসংঘ বাহিনী মোতায়েনে হামাস সম্মত বলেও জানান আল-হায়া।
ত্রাণ সরবরাহে ইসরাইলের বাধার সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, গাজা উপত্যকায় যে পরিমাণ ত্রাণ আসছে, তাতে সন্তুষ্ট নয় হামাস। ত্রাণ সরবরাহে নিশ্চিতে ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগে মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি জানান, গাজায় প্রতিদিন ছয় হাজার ট্রাক ত্রাণ প্রয়োজন, ছয়শত নয়।
আরএ