মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে অন্য দেশের ‘সরকার বদলের’ নীতি সমাপ্তি ঘটেছে। শুক্রবার বাহরাইনে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলন মানামা ডায়ালগ-এর আগে এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শনিবার তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গ্যাবার্ড বলেন, “কয়েক দশক ধরে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি এক বিপরীতমুখী চক্রে বন্দী ছিল—শাসন পরিবর্তন, জাতি গঠন ও অন্যদের ওপর আমাদের ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া। এর ফলে অগণিত প্রাণহানি, ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় এবং আরও বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।”
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার এখন গণতন্ত্র রপ্তানি নয়, বরং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রচারের পরিবর্তে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছে এবং ইরানের সঙ্গে সংঘাত প্রশমনে কাজ করছে।
হাওয়াইয়ের সাবেক কংগ্রেসওম্যান ও সেনাবাহিনীর ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য গ্যাবার্ড আরও বলেন, “গাজার যুদ্ধবিরতি এখনো ভঙ্গুর, আর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি উদ্বেগের কারণ রয়ে গেছে। তবুও ট্রাম্প এই নতুন নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে অটল।”
বিশ্লেষকদের মতে, গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর শুরু হওয়া আমেরিকার দীর্ঘ সামরিক হস্তক্ষেপ ও শাসন পরিবর্তনমূলক নীতির একটি যুগের অবসান নির্দেশ করে।