ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় ঐক্য সুদৃঢ় করতে বিএনপি আবারও শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের দলে ফিরিয়ে নিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর বিএনপির ৪০ জন নেতাকর্মীকে পুনর্বহাল করা হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০২৩ সালের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে অংশ নেয়ায় যে-সব নেতা বহিষ্কৃত হয়েছিলেন, তাদেরই ফের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছিল। কেন্দ্রীয় নির্দেশে দলীয় নেতাকর্মীদেরও নির্বাচনে অংশ না নিতে বলা হয়েছিল। সে নির্দেশ মেনে মেয়র পদে প্রার্থী হননি তৎকালীন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তবে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ৪৩ জন নেতা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর পরপরই তাদের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।
পরে এসব নেতা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে দলে পুনর্বহালের আবেদন জানান। দীর্ঘ আলোচনার পর তাদের আবেদন, রাজনৈতিক অবদান ও সংগঠনের প্রতি আনুগত্যের বিষয় বিবেচনা করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।
দলে ফেরত আসা নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ তৌফিকুল হাদী ও মুফতি কমর উদ্দিন কামু, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান মিঠু, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কামাল মিয়া, খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন ও শাহেদ সিরাজ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সাঈদুর রহমান জুবের, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম মতছির, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল ইসলাম মুনিম, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মুজিবুর রহমান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ও সালমান চৌধুরী শাম্মী, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বদরুল আজাদ রানা, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মামুনুর রহমান মামুন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবির সুহিন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অ্যাডভোকেট রুকশানা বেগম শাহনাজ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম আহমদ রনি, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের আলী আব্বাস, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম মোস্তফা কামাল ও সাহেদ খান স্বপন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের জাবেদ আমিন সেলিম, রাজু মিয়া ও সানর মিয়া, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আব্দুল মুকিত, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের অ্যাড. হেদায়েত হোসেন তানভীর ও দুলাল আহমদ, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের গউছ উদ্দিন পাখী ও দেলওয়ার হোসেন নাদিম, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিলওয়ার হোসেন জয়, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের উসমান হারুন পনির, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলতাফ হোসেন সুমন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল হাছিব, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সুমন আহমদ সিকদার, এছাড়া সংরক্ষিত আসনের মধ্যে রয়েছেন ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সালেহা কবির শেলী; ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রুহেনা বেগম মুক্তা ও অ্যাড. জহুরা জেসমিন; ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কামরুন নাহার পিন্নি এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডের নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।