হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

নানার বাড়িতে পিঠা খেতে যাওয়ার রাস্তা আর হবে না: সড়ক উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম ব্যুরো

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, নানার বাড়িতে পিঠা খেতে যাওয়ার জন্য আর কোন রাস্তা করা হবে না। সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইনে একটি রাস্তা করেছে। সেখানে মৎস্য সম্পদ, প্রাণিসম্পদ, কৃষি, পরিবেশ সব ধ্বংস করেছে। সেখানে বন্যা সৃষ্টি করে দিয়েছে। এতো বড় একটা বিনিয়োগ অথচ কোন গাড়ি চলে না। শুধু কিছু টেম্পু চলে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করা হয়েছে। এসব ফরমায়েশি সড়ক আর হবে না।

শুক্রবার দুপুরে নগরের আগ্রাবাদে সড়ক ভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাকে সন্দ্বীপের একজন বলল. আপনার বাড়ি সন্দ্বীপ আপনি একটা রাস্তা করে দেন। আমি বললাম যে তোমার নানার বাড়ি সন্দ্বীপ তাই বলে কি সেখানে রাস্তা করে দেব। তুমি সেই রাস্তা দিয়ে নানির বাড়িতে পিঠা খেতে যাবা। এ রকম কোন রাস্তা করা হবে না।

আওয়ামী লীগ আমলে এসব ফরমায়েশি রাস্তা হয়েছে। আমি যদি তাদেরকে বলতাম তারা কাজ শুরু করে দিতো। কিন্তু আমরা গুরুত্ব বুঝে রাস্তা করব। সেটার একটা জাস্টিফিকেশন থাকতে হবে। সেটার অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব আছে কিনা দেখতে হবে। এই যে পদ্মা সেতু, যমুনা সেতু হলো সবার আশা ছিল সেখানে অনেক শিল্পায়ন হবে। আসলে কি হয়েছে কোন শিল্প। এরকম কারো নির্দেশনার রাস্তা হবে না। আমি সড়ক সচিবকে বলেছি, যে ট্রাফিক বিবেচনা করে রাস্তা করার জন্য। মানুষের মুভমেন্ট আছে কিনা সেখানে। আওয়ামী লীগ সরকার অনেক বড় ৩০-৪০ কিলোমিটার রেল পথ করল কিন্তু ট্রেন চলে সারাদিনে একটা আর লোক যাতায়াত করে ১৫-২০ জন।

রেলে ভয়ংকর দুর্নীতি হয়েছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা আরও বলেন, রেলে ভয়ংকর দুর্নীতি করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক পদ সৃষ্টি করে এই দুর্নীতি পথ তৈরি করা হয়েছে। বড় বড় প্রকল্প নিয়েছে যা গুরুত্বহীন। মানুষের কোন কাজে আসে না। এভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার লেন, চট্টগ্রাম দোহাজারী লেনে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। সেগুলোর ইপোর্ট নিতে পারছি না আমরা। আমাদের যথেষ্ট লোকোমোটিভ নেই, কোচ নেই। এগুলোর পেছনে দুর্নীতি গেঁথে ছিল। আমরা সেগুলো থেকে সরে আসছি।

তিনি বলেন, মাতারবাড়িতে একটা রাস্তা নেওয়া হয়েছে প্রতি কিলোমিটার ব্যয় ৪৭৬ কোটি টাকা। এগুলোতো আমরা বহন করতে পারব না। যেটা আমরা জাতি হিসেবে ইপোর্ট করতে পারব সেটা করব। আমাদেরকে ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি দূর করতে হবে। ভূমি অধিগ্রহণ কমাতে হবে। এটা সময় নষ্ট করে।

তিনি আরও বলেন, মহাসড়কের উপর চাপ কমাতে হবে। শুধু ৮ লেন থেকে ১০ লেন করলে যানজট কমবে এই ধারণা ভুল। সড়কের উপর চাপ কমাতে হবে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাখিল করা প্রস্তাব অনুসারে যোগাযোগ খাতে মাল্টিমডেল নীতি অনুসরণ করব। আমরা যখন রোড় দেখি তখন শুধু রোড় দেখি, কিন্তু আমরা এখন আর সেভাবে দেখব না। রোড়, রেললাইন, ইনল্যান্ড ওয়াটার সবগুলোকে একসাথে দেখতে হবে। এতে করে সামান্য যোগাযোগ করলে রেল পথে, সামান্য যোগাযোগ করলে নদী পথ পাওয়া যাবে এই সিস্টেমে আনা হবে। আমরা দেখেছি সড়ক বড় করলে যানবাহনও বাড়ে। আমরা ৮ লেন করব না বিষয়টা এমন না। আমরা ৮ লেন করব। কিন্তু একইসাথে এটাও করতে হবে। এজন্য আমাদের পরিকল্পনা আছে ২০ শতাংশ পণ্য ও যাত্রী রেল ও নৌ পথে নিয়ে যেতে হবে।

সীমান্ত সড়ক প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আমি সীমান্ত সড়কগুলো পরিদর্শন করব। কিন্তু আমাদের সম্পদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে সেটা আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে। আমরা একই টাকা দিয়ে হাসপাতালও করতে পারি, রাস্তাও করতে পারি। কিন্তু কোনটা বেশি কার্যকর আমরা সেটা ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ চলমান আছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশের নদী প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। এজন্য অনেক কিছু চিন্তা করে করতে হবে। যেমন এমনও ব্রিজ হয়েছে নিচে দিয়ে জাহাজ যেতে পারে না। সেগুলো আবার ঠিক করা হয়েছে। আমরা নদী শাসন করে করতে চাচ্ছি কালুরঘাট ব্রিজ। আমাদের সময়ে ভালো একটা কিছু দৃশ্যমান হবে আশা করি।

সওজ'র কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, আমরা ৩৭৫ টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছি। তাহলে ১২০০ কোটি, ২ হাজার কোটি টাকাকে মাত্র বলা যাবে না। এসব চিন্তা বাদ দিতে হবে। জমিদার মানে পুকুর, নারকেল গাছ, সুপারি গাছ থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এসব চিন্তাধারা বাদ৷ এখন রাস্তার জন্য জমি চাইলেই পাওয়া যাবে এমন না, জমির আরও নানাবিধ ব্যবহার আছে। এর আগে সড়ক বিভাগ চট্টগ্রাম সার্কেলের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। জানা যায়, শুক্রবার বিকালে নগরের মুসলিম হাইস্কুলে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি যোগদান ছাড়াও শনিবার (২৯ নভেম্বর) তিনি সন্দ্বীপ উপজেলা সফরে যাবেন৷ এদিন তিনি গুপ্তছড়া ও বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।

সাবেক জামায়াত আমিরের কবর জিয়ারত করলেন মিন্টু

ষোল বছর বাবা-মায়ের কবর পর্যন্ত জিয়ারত করতে পারিনি: মিন্টু

কুমিল্লায় গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

মতলব-গজারিয়া ঝুলন্ত সেতু প্রকল্প পরিদর্শনে কোরিয়ার প্রতিনিধি

উখিয়ার শরী‌ফের লাশ মিললো কুতুব‌দিয়া সৈক‌তে

আওয়ামী দাপটে নাঙ্গলকোট যেন দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ

বাংলাদেশের প্রথম ‘জগন্নাথদিঘি মুক্তাঞ্চল’ দিবস আজ

সড়ক ‍দুর্ঘটনায় নানি-নাতনি নিহত, বাস আটক

খালেদা জিয়ার উপহারের বাস ১৬ বছর ধরে নষ্ট হচ্ছে গ্যারেজে

দেবিদ্বারে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীর জামায়াতে যোগদান