রাজশাহীতে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে মারা যাওয়া শিশু সাজিদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার জানাজায় মানুষের ঢল নামে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। সাজিদের বাড়ি তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট
এর আগে দীর্ঘ ৩২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস উদ্ধার অভিযানের পর তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণার পর জানাজা শেষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মাটির প্রায় ৫০ ফুট গভীর থেকে শিশু সাজিদকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর দ্রুত তাকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাত ৯টা ৪০মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বার্নাবাস হাসদাক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল।
হাসপাতাল থেকে মরদেহ বাড়িতে আনার পর এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজন ও এলাকাবাসীর কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
জানাজায় স্থানীয় বাসিন্দা, আত্মীয়স্বজনসহ শত শত মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে বাড়ির অদূরেই স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানা যায়, দাফনের সময় হাজারো মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় এবং অত্যন্ত শোকাবহ পরিবেশে তাকে সমাহিত করা হয়।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট গ্রামে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। মায়ের সঙ্গে হাঁটার সময় খড় দিয়ে ঢাকা একটি অরক্ষিত গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ।
স্থানীয়রা জানান, গত বছর এক ব্যক্তি সেখানে নলকূপ স্থাপনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পাইপটি মুখ খোলা অবস্থায় পরিত্যক্ত ফেলে রেখেছিলেন। কোনো ঢাকনা বা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকায় খড়ের নিচে থাকা গর্তটি সাজিদের জন্য মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়ায়।