আমার দেশ-এ সংবাদ
আওয়ামী আমলে অবৈধভাবে পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগ পান সুলতানা রাজিয়া। তিনি জুলাই হত্যা মামলার আসামি ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার বোন এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অর্থের যোগানদাতার স্ত্রী। এরপরও তাকে প্রশিক্ষণ শেষে পদায়ন করা হয়।
এ বিষয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর ‘অবৈধভাবে পুলিশ ক্যাডারে আওয়ামী লীগ নেতার বোন রাজিয়া’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে আমার দেশ। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ইতোমধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পিএসসিতে নন-ক্যাডারে নাম থাকার পরও আলাদা গেজেট প্রকাশ করে বেআইনিভাবে ক্যাডার পদে ১৮ নারীকে ৩০তম বিসিএসের অধীনে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল ইসলামের বোন এবং আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার সোহেল সিরাজের স্ত্রী রাজিয়াও আছেন। পুলিশ ক্যাডারে তাকে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, রাজিয়া বর্তমানে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে আছেন। সেখান থেকে দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল। এ বিষয়ে আমার দেশ-এর প্রতিবেদন নজরে পড়তেই ফুঁসে ওঠেন ছাত্র-জনতা। তার বদলি বাতিল দাবিতে দিনাজপুরে দফায় দফায় আন্দোলনও করেছে জুলাইপন্থিরা।
দিনাজপুরে চোখ হারানো জুলাইযোদ্ধা আশরাফুল আমার দেশকে বলেন, জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেকে পা হারিয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, কেউ কেউ এখনো জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন।
এতকিছুর পরও একটি মহল শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করে রাজিয়ার মতো আওয়ামী গণহত্যাকারী ও তাদের দোসরদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, এমনকি ক্ষমতায়ন করছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম আমার দেশকে জানান, রাজিয়ার বিষয়ে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
গণমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, রাজিয়াকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর অভিযোগটি খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার। ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া তাকে পদায়নের আদেশটিও বাতিল করা হয়েছে।